পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক লাঞ্চিত

monirampur jessore map

যশোরের মণিরামপুরে ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদরাসা ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিভাবকদের হাতে এক মৌলভি শিক্ষক লঞ্চিত হয়েছেন। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার শমসেরবাগ দাখিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুল আজিজ নামে ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। একই সাথে তাকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।

মাদরাসার একাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদরাসার বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীর স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়াসহ যৌন হয়রানিমূলক আচরণের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার মাদরাসা সুপার মাওলানা শওকত আলীর কাছে অভিযোগ দিলেও তিনি ব্যবস্থা নেননি।
গত বৃহস্পতিবার ৫ম শ্রেণির ক্লাস চলা অবস্থায় এক ছাত্রীর দেহের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন তিনি। বিষয়টি ওই ছাত্রী বাড়ি গিয়ে তার মাকে জানায়। শনিবার মাদরাসা খুললে ছাত্রীর অভিভাবকসহ ভূক্তভোগি একাধিক অভিভাবক মাদরাসায় গিয়ে ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেন। এসময় মাদরাসা সুপার বরাবরের মতো বিষয়টি পরে দেখবেন বললে অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুল আজিজকে লাঞ্চিত করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে সুপার তড়িঘড়ি করে সকালেই মাদরাসা বন্ধ করে দেন।

ভূক্তভোগি একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, আজিজ হুজুর ক্লাসে এসে কখনো তাদের কোলে নিয়ে, কখনো ওড়নার নিচ দিয়ে শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়। তারা নিষেধ করলেও তিনি শুনেননি। বিষয়টি সুপার হুজুরকে জানিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি ছাত্রীরা।

তবে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল আজিজ বলেন, ওই দিন ক্লাসে তিনি আদর করে সব শিক্ষার্থীর পিঠে হাত দিয়েছিলেন।

মাদরাসা সুপার মাওলানা শওকত আলী বলেন, এমন অভিযোগ আগে কখনো পাইনি। আজই প্রথম জানলাম। অভিযোগ পেয়ে ওই শিক্ষককে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। তার কাছে অভিযোগের ব্যাপারে জবাব চাওয়া হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, মাদরাসার সুপার আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা মিললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।