প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনা করা সম্ভব হতো না বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতারা। আর ক্যাসিনো পরিচালনায় প্রশাসনের যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত আ স ম হান্নান শাহের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় দলটির নেতারা এই দাবি করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘যুবলীগের সভাপতি বলেছেন, ৬০টি থানায় ক্যাসিনো ও জুয়া চলেছে, পুলিশ ও র্যাব কী করেছে? তারা কী আঙুল চুষছে?’
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা যুবলীগ নেতার ভাষায় বলতে চাই, প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এ ধরনের অনৈতিক কাজ চলতে পারে না। সুতরাং আমরাও দাবি করছি, প্রশাসনের যেসব ব্যক্তি সহযোগিতা করছেন তাদেরকে চিহ্নিত করুন।’
বক্তব্যে আওয়ামী লীগের চলমান শুদ্ধি অভিযান ফলপ্রসু করতে ওপর থেকে অভিযান চালানোর পরামর্শ দেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা। সরকারের উদ্দেশ্যে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শুধু নিচ থেকে শুদ্ধি অভিযান করে লাভ হবে না, ওপর থেকে শুদ্ধি অভিযান শুরু করুন। তাহলে শুদ্ধি অভিযান হবে।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগের টোকাইদের পকেটে কত টাকা? আর এখন চোরেরা ধরা পড়েছে, তাই একেক দিন একেক জনের নাম বলে। আর পুলিশ ও র্যাব তাদের না ধরলেও জনগণ তাদেরকে ধরবে। সেই সময় আর বেশি দূরে নেই, যেদিন জনগণই তাদের বিচার করবে।’
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আদালত নির্ভর হতে পারে না। কারণ এর সিদ্ধান্ত জনগণ নেবে। জনগণ বলবে তিনি ভালো না মন্দ। তিনি দোষী না নির্দোষী। ’
হান্নান শাহকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘হান্নান শাহ সাহসী এবং দলের প্রতি অনুগত ছিলেন। আর আজকে বিনা অপরাধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। তবে আজ হান্নান শাহ বেঁচে থাকলে এর প্রতিবাদ করতেন এবং আন্দোলন-সংগ্রাম সফল করতেন।’
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান এবং যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।
