রাবি উপাচার্যের ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান, ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম

‘জয় হিন্দ’ স্লোগান দেয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য ২৪ ঘন্টা আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। একই কারণে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষকদের গ্রুপ সাদা দল।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনে ‘কালচার, পিস অ্যান্ড এডুকেশন; ফ্রম দ্যা পারস্পেকটিভ অভ পিপলস স্টিস্ট্রি’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানের পর ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান! এমন বক্তব্য দেওয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রবিবার বিকেলে উপাচার্য বরাবর শিক্ষার্থীদের দেয়া এক প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে এ বক্তব্য খুবই উদ্বেগজনক। আমরা মনে করি এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি লক্ষ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ ও লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশকে অসম্মান ও অস্বীকার করেছেন। যা দেশদ্রোহীতার শামিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মত পদে বসে এমন গর্হিত বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে উক্ত পদকে তিনি কলঙ্কিত করেছেন।

শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদলিপিতে আরো বলেন, আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একই সাথে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে উক্ত বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। অন্যথায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।

এদিকে, বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের গ্রুপ সাদা দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহা. এনামুল হক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধৃষ্টতা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এর মধ্যে দিয়ে তিনি (উপাচার্য) তার পদের চরম অবমাননা ঘটিয়েছেন এবং ওই পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। সুতরাং অবিলম্বে তাকে জাতির সামনে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানাই। সেই সঙ্গে আইনের আওতায় এনে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডের জন্য তার যথাযথ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, অখন্ড ভারতের স্লোগান দিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির গোলাম হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। তিনি ক্ষমা না চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।

এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি।