চন্দ্রাযান-২ এর জন্য আর কিছু করার নেই নাসার

চন্দ্রাযান-২ এর বিচ্ছিন্ন ল্যান্ডার বিক্রমের জন্য হয়তো আর বেশি কিছু করতে পারবে না নাসা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব ছিল, তারা করেছে। কিন্তু আর কোনোভাবেই বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না।

শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়া টুডে টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কমার্স সেক্রেটারি উইলবার রস।

তিনি বলেন, চন্দ্রাযান-২ এর ল্যান্ডার বিক্রমের সফট ল্যান্ডিং কেন হয়নি বা কি কারণে এই প্রজেক্ট সফল হল না, তা খোঁজার চেষ্টা করেছে নাসা। কিন্তু এই প্রজেক্টের যাবতীয় গোপন তথ্য ইসরোর হাতে। ফলে চাইলেও এর থেকে বেশি কিছু করতে পারছে না নাসা। তবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা চেষ্টা করেছিল ইসরোকে সাহায্য করার।
শুক্রবার ইসরোর প্রধান কে শিবনের সঙ্গে সাক্ষৎ করেন উইলবার রস। ৭ সেপ্টেম্বর ইসরো ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যাবতীয় যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। চেষ্টা করেও বিক্রমের সঙ্গে আর যোগসূত্র স্থাপন করতে পারেনি ইসরো। পরে সাহায্য চায় নাসার কাছ থেকে।

নাসা জানায়, ১৪ দিনের জন্য ঘন কালো অন্ধকারে ঢেকে থাকবে চাঁদের দক্ষিণ মেরু, যা লুনার নাইটস নামে পরিচিত। তখন সেখানে তাপমাত্রা থাকে মাইনাস ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিক্রমের সোলার প্যানেলও কাজ করবে না এই তাপমাত্রায়। ফলে কার্যক্ষমতা হারাবে বিক্রম। ফের ১৪ অক্টোবর চাঁদের ওই পৃষ্ঠের ওপর দিয়ে উড়বে নাসার লুনার রিকনাসান্স অরবিটার। তখন শেষ হবে লুনার নাইটসও। শেষ চেষ্টা তখনই করা হবে, যাতে বিক্রম ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়।

নাসার লুনার রিকনাসান্স অরবিটার বা এলআরও এর আগে দুটি সম্ভাব্য ছবি পাঠায়। তবে সেখান থেকে বিক্রমের অবস্থান স্পষ্ট হয়নি। এরপর চাঁদের ওই পৃষ্ঠে শুরু হয়ে যায় লুনার নাইটস। ফলে অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকায় বিক্রমকে খুঁজে পাওয়া আরও কষ্টকর হয়ে পড়ে।

নাসার এলআরও টিম জানিয়েছিল, আগের ছবিগুলোর সঙ্গে নতুন ছবিগুলোর তুলনা করে দেখা হলেও বিশেষ লাভ হয়নি। বিজ্ঞানীদের আশা ছিল, ছায়াঘেরা জায়গাতেই কোথাও রয়েছে বিক্রম। নয়তো যেখানে বিক্রম নেমেছে, সেই এলাকার ছবি তোলেনি নাসার অরবিটার।

সূত্র: কলকাতা২৪