হাসপাতালে কারা হেফাজতে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের আশঙ্কাজনক অবনতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ অবস্থায় দ্রুত উন্নত চিকিৎসা না হলে যেকোনো সময় অঘটন ঘটে যেতে পারে আশঙ্কা রিজভীর।
রবিবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন রিজভী।
সরকারকে অমানবিক আখ্যা দিয়ে রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে জামিন না দিয়ে তার জীবননাশের ষড়যন্ত্র করছে সরকার। তার স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি হয়েছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘দেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আশঙ্কাজনক অবনতি ঘটেছে। অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত প্রতিহিংসায় ৬১৩ দিন ধরে তাকে বন্দি করে রেখেছেন। কারাগারে নেয়ার সময় সম্পূর্ণ সুস্থ, দেশনেত্রী এখন হুইল চেয়ার ছেড়ে উঠতে পারেন না। নিজের খাবার নিজে খেতে পারেন না। মাথার চুলও বাঁধতে পারেন না। তার পোশাকও আরেকজনকে পরিয়ে দিতে হয়। হাত-পা শক্ত ও আঙ্গুল ফুলে গেছে।’
রিজভী বলেন, ‘সরকার অমানবিক এবং বেআইনি কাজে এত অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে যে, তারা বেগম খালেদা জিয়ার বিপদজনক অসুস্থতাও ভ্রুক্ষেপ করছে না। সরকারের অমানবিক ও অসুস্থ আচরণ প্রমাণ করে দেশনেত্রীকে প্রাণনাশের ষড়যন্ত্র করছেন তারা।’
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং দেশ বিক্রির জন্য আইন আদালতকে কব্জা করে দেশনেত্রীর জামিনে বাধা দিচ্ছে। কাঁটাতারে ঝুলন্ত ফেলানি থেকে মেধাবী তরুণ আবরার ফাহাদকে হত্যা ও বেগম জিয়ার বন্দিত্ব একই সুতায় গাঁথা। বেগম জিয়ার সুচিকৎসা হচ্ছে না। দেশনেত্রীর প্রাণনাশের গভীর নীলনকশা বাস্তবায়নে ব্যস্ত অবৈধ সরকার জামিনে বাধা দিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে না, বিএসএমএমইউর পরিচালক সাহেবকে দিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলানো হচ্ছে -‘খালেদা জিয়া ভালো আছেন, তার অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি।’ কতটা অমানবিক হলে এত বড় মনগড়া কথা তারা বলতে পারেন।’
রিজভী বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। অন্যথায় যেকোনো সময় অঘটন ঘটে যেতে পারে। এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে আমরা আজই দেশনেত্রীকে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।’