প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতে রেকর্ড গড়ল ভারত

চতুর্থ দিনের চায়ের বিরতিতেই পুণে টেস্টে জয়ের গন্ধ পাচ্ছিল ভারত। চা বিরতির পর মাত্র ৬.২ ওভারেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কোহলিরা। দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৮৯ রানে অল-আউট করে দেয় ভারত। এক ইনিংস ও ১৩৭ রানে ম্যাচ জিতে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জয় নিশ্চিত করে তারা।একই সঙ্গে ঘরের মাঠে টানা ১১টি টেস্ট সিরিজ জিতে বিশ্বরেকর্ড গড়ে ভারত।

টস জিতে শুরুতে ব্যাট করে ভারত ৫ উইকেটে ৬০১ রান রান তুলে তাদের প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয়। পাল্টা ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় ২৭৫ রানে। প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৩২৬ রানের বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রোটিয়াদের ফলো-অন করায় ভারত। চতুর্থ দিনের চায়ের বিরতির কিছুক্ষণ পরেই দক্ষেণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়।

দিনের প্রথম সেশনে ৭৪ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট তুলে নেয় ভারত। চায়ের বিরতিতে দক্ষিণ আফ্রিকা দাঁড়িয়েছিল ৭ উইকেটে ১৭২ রানে। শেষ সেশনে ম্যাচ স্থায়ী হয় মাত্র ৩৮ বল। তার মধ্যেই প্রয়োজনীয় ৩টি উইকেট তুলে নেয় ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে এলগার ৪৮, বাভুমা ৩৮, ফিলেন্ডার ৩৭ ও মহারাজ ২২ রান করেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে উমেশ যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজা ৩টি করে উইকেট দখল করেন। ২টি উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। একটি করে উইকেট নেন ইশান্ত শর্মা ও শামি। রোহিত শর্মা ২ ওভার ও বিরাট কোহলি এক ওভার হাত ঘোরান। তবে তারা কোনও উইকেট পাননি।

জয়ের সুবাদে ভারত এক ম্যাচ বাকি থাকতেই তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে যায় এবং ২০০ পয়েন্ট নিয়ে আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুত করে। একই সঙ্গে ভারত নিজেদের মাঠে একটানা ১১টি টেস্ট সিরিজ জয়ের বিশ্বরেকর্ড গড়ে।

ভারত ভেঙে দেয় ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার টানা ১০টি টেস্ট সিরিজ জয়ের রেকর্ড। ১৯৯৪ থেকে ২০০১ পর্যন্ত এবং ২০০৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত সময়ে অস্ট্রেলিয়া মোট দু’বার ঘরের মাঠে টানা ১০টি করে টেস্ট সিরিজ জেতে। ভারত ২০১২-১৩ মৌসুমের পর ঘরের মাঠে কোনও টেস্ট সিরিজ হারেনি।