মণিরামপুরে বেতনভুক্ত হলেন ৫৪ শিক্ষক-কর্মচারী

দীর্ঘ ২০-২২ বছর বিনা পারিশ্রমিকে শ্রম দেওয়ার পর অবশেষে গতি ফিরেছে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৫৪ শিক্ষক-কর্মচারীর পরিবারে। একসময় যাদের পরিবারের প্রতিটি মুহুত্ব, প্রতিটি দিন কেটেছে সংকট আর হতাশায় সরকারের একটি ঘোষণায় এখন সেই পরিবারগুলোতে বয়ছে আনন্দের বন্যা, ফুঁটেছে হাঁসির ঝিলিক।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা দেওয়া সারা দেশের এমপিওভুক্ত দুই হাজার ৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মণিরামপুরে রয়েছে ছয়টি। যেখানে কর্মরত রয়েছেন এই ৫৪ জন শিক্ষক-কর্মচারী।

এমপিওভুক্ত হওয়া ছয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে, নেংগুড়াহাট মহিলা দাখিল মাদরাসা, মনোহরপুর টেকনিক্যাল ও বিজ্ঞান কলেজ, গাবুখালী হাইস্কুল, রাজগঞ্জ সিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদরাসা, রাজগঞ্জ কলেজ ও মুক্তেশ্বরী কলেজ। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নেংগুড়াহাট মহিলা দাখিল মাদরাসা, মনোহরপুর টেকনিক্যাল ও বিজ্ঞান কলেজের সকল শিক্ষক-কর্মচারী নতুন ভাবে এমপিওভুক্ত হয়েছেন।

বাকি চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্তরভিত্তিক শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হয়েছেন। তার মধ্যে নেংগুড়াহাট মহিলা দাখিল মাদরাসায় ১৫ জন, মনোহরপুর টেকনিক্যাল ও বিজ্ঞান কলেজে ১৬ জন, মুক্তেশ্বরী কলেজের বিএম শাখায় সাত জন, রাজগঞ্জ কলেজের বিএম শাখায় ছয় জন, গাবুখালী হাইস্কুলে মাধ্যমিক পর্যায়ে ছয় জন ও রাজগঞ্জ সিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদরাসায় ফাজিল পর্যায়ে চারজন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন।

এদিকে দীর্ঘ ঘাত প্রতিঘাতের পর এমপিও পাওয়ার খবরে ৫৪ শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে অনেকেই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েছেন। তেমনই একজন হচ্ছেন নেংগুড়াহাট মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার মাসুম বিল্লাহ। যিনি ১৯৯৭ সাল থেকে বিনা বেতনে কাজ করে চলেছেন।

অভিমত জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ২২ টি বছর পর আমরা প্রতিষ্ঠানের ১৫ জন স্টাফ এমপিও পেয়েছি। আমরা সকলে অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের বেতনভুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। শিক্ষার্থীদের ভাল করতে এতদিন আমরা যেভাবে পরিশ্রম করেছি। এখন থেকে নতুন উদ্যামে আরও ভাল করে কাজ করব। যেন আমরা এই প্রাপ্তি ধরে রাখতে পারি।