ইউনুস হত্যা মামলা: তিন জন আসামির যাবজ্জীবন

khulna map

খুলনার সেতু ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার মো. ইউনুস হত্যা মামলায় ৩ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোজিনা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মহানগরীর ফুলবাড়িগেটস্থ দারোগা বাজার এলাকার শেখ শাহারিয়ার হোসেনের ছেলে মো. সাব্বির হোসেন ওরফে তপু, একই এলাকার শেখ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে শেখ রুবায়েত হোসেন ওরফে রুবেল ও মহানগরীর মৌলভীপাড়া টিভি বাউন্ডারী রোড এলাকার চেয়ারম্যান বাড়ীর ভাড়াটিয়া ও বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের নুরুল্লাহপুরের আব্দুল কালাম শেখের ছেলে মো. সোহেল শেখ।

রায়ে একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া দণ্ডবিধির ৩৮০ ধারায় উল্লেখিত আসামিদের প্রত্যেককে ৭ বছর করে কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আর ৬ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

রায়ে অপর তিন আসামিকে দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় ২ মাসের কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মহানগরীর মহেশ্বরপাশা এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে রানা কবির, হাফিজুর রহমান ও পংকজ শীল। রায় ঘোষণার সময় রানা কবির ছাড়া অন্য ৫ আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৩ জুন ভোরে মহানগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডস্থ সেতু ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার মো. ইউনুস আলীকে সন্ত্রাসীরা জবাই করে হত্যা করে। এরপর প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ কাউন্টার থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। নিহত ইউনুস আলী রূপসা উপজেলার মহিশাগুনি গ্রামের আব্দুল আওয়াল মোড়লের ছেলে। এঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. আমজাদ হোসেন মোড়ল বাদি হয়ে ঘটনার দিনই খুলনা থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা থানার তৎকালীন এসআই কাজী মোস্তাক আহমেদ দণ্ডপ্রাপ্ত ৬ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার আদালত রায় ঘোষণা করা হয়।