সৌদি আরব থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে ভিডিও বার্তা প্রকাশ করা হোসনা আক্তার অবশেষে দেশে ফিরছেন।
ব্রাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, বুধবার রাত ১১টায় সৌদি এয়ারলাইন্সে একটি বিমানে রিয়াদ হয়ে দেশে পাঠানো হচ্ছে হবিগঞ্জের মেয়ে হোসনাকে। দেশে ফেরার বিষয়টি রিয়াদ বিমান বন্দর থেকে নিজেই ব্র্যাককে নিশ্চিত করেছেন হোসনা।
সৌদি আরব থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে কয়েকদিন আগে ভিডিও বার্তা দেন হোসনা। স্ত্রীকে নিরাপদে দেশে ফেরত আনতে পরে সরকারের কাছে আকুতি জানান তার স্বামী শফিউল্লাহ।
পারিবারিক সূত্র জানায়, দালাল শাহীন মিয়া ও প্রস্তাবিত রিক্রুটিং এজেন্সি আরব ওয়ার্ল্ড ডিস্ট্রিবিউশনের প্রলোভনে পড়ে এজেন্সি আল-সারা ওভারসীস (আরএল-৭৫২) সৌদি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় হবিগঞ্জের মেয়ে হোসনা। সেখানে তিনি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। পরে হোসনা ভিডিও বার্তায় তার ওপর চালানো নির্যাতনের বর্ননা দিয়ে জীবন বাঁচার আকুতি জানান স্বামী শফিউল্লাহর কাছে। কোন উপায়ন্তর না পেয়ে শফিউল্লাহ ছুটে যান দালাল ও আরব ওয়ার্ল্ড ডিস্ট্রিবিউশন অফিসে, তারা হোসনাকে দেশে আনতে দুই লাখ টাকা দাবি করে পরিবারের কাছে। কোন উপায় না পেয়ে ২৪ নভেম্বর ব্র্যাকের সহায়তা চেয়ে আবেদন করেন হোসনার স্বামী শফিউল্লাহ। এরপর নিরাপদে হোসনাকে দেশে ফেরত আনতে সার্বিক সহায়তার সিদ্ধান্ত নেয় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সৌদি আরবের জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের উদ্যোগে গৃহকর্মী হোসনা আক্তারকে উদ্ধারের জন্য নাজরান পুলিশকে অবহিত করা হয়। জানা যায়, হোসনা আক্তার সৌদি রিক্রুটিং অফিস রুয়াদ নাজরানের (লাইসেন্স নং- ৩৯১৮৬১৮) মাধ্যমে তিন মাস আগে সৌদি আরব যান। তার কর্মস্থল ছিল সৌদি আরবের নাজরান শহরে- যা জেদ্দা হতে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে সেফ হাউসে আনা হয়। পরে তাকে দেশে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।