‘বেকার মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কারিগরি শিক্ষার কোন বিকল্প নেই’

মুসলিম এইড পলিটেকনিক কলেজের নবীণ বরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা

নবীণ শিক্ষার্থীদের বরণ ও ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্নদের বিদায় উপলক্ষে যশোর মুসলিম এইড পলিটেকনিক কলেজে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

মুসলিম এইড ইউ.কে বাংলাদেশ ফিল্ড অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফাদলুল্লাহ উইলমোট এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে যশোর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল খালেক, মুসলিম এইড ইউ.কে হেড কোয়ার্টারের প্রতিনিধি মোশারফ হোসেন, স্টেপ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার সোনিয়া আকবর, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের উপ পরিদর্শক ড. ইন্দ্রানী ধর ও দৈনিক স্পন্দন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মাহবুব আলম লাভলু বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কলেজের রেজিস্ট্রার নূর ইসলাম ও সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর শায়লা আজিজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন মুসলিম এইড পলিটেকনিক কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী আরিফ নূর।

বক্তারা বলেন, বেকারত্ব একটি অভিশাপ, বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে সব চেয়ে বড় অন্তরায়। ২০২১ সালের মধ্যম আয়ের দেশে বাংলাদেশকে উন্নীত করতে জনশক্তি উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। দেশের বিশাল জন সম্পদকে জনশক্তিতে রুপান্তরিত করতে সব চেয়ে কার্যকর পন্থা হচ্ছে কারিগরি শিক্ষার প্রসার।’ ২১ সালের মধ্যে দেশের মোট শিক্ষিত জন গোষ্ঠির ২৫ শতাংশকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে সরকার নাানমৃখি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আগামী বছরকে মুজিব বর্ষ ঘোষনা করে সরকার এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের যে লড়াই শুরু করেছে মুসলিম এইড পলিটেকনিক কলেজ সেই লড়াইয়ের শক্তিশালী অংশীদার। হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি মুসলিম এইড বেকারত্ব দূরীকরণে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।

বক্তারা বলেন, জেনারেল শিক্ষায় উচ্চ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিএ, এমএ পাশ করা শিক্ষিতরা পিয়নের চাকরি করছে। অথচ হাতে কলমে প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বল্প শিক্ষিতরা মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করছে। এই জন্য বর্তমান সরকার কারিগরি শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করছে। কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতদের জন্য নানা রকমের প্রনোদনা প্রদান করছে। ফলে বেকারত্ব দূর করতে এসএসসি পরীক্ষায় পাশের পর ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির মাধ্যমে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।

উল্লেখ্য, এবছর যশোর মুসলিম এইড পলিটেকনিক কলেজের ইলেকট্রিক্যাল, সিভিল ও কম্পিউটার টেকনোলজির ৭২ জন শিক্ষার্থী ৮ম সেমিস্ট্রার সম্পন্ন করেছে। ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশিত হওয়ার আগেই ৩৭ জন ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরিতে যোগদান করেছে। বাকিদের চাকুরি প্রাপ্তিতে মুসলিম এইডের জব প্লেসমেন্ট সেল কাজ করছে।