সরকারকে মুক্তিযোদ্ধা লীগের আলটিমেটাম

মুক্তিযোদ্ধাদের বন্ধ ভাতা চালুসহ ৭ দফা দাবি পূরণের লক্ষ্যে সরকারকে আলটিমেটাম দিয়েছে আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগ। আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এমন ঘোষণা দেয় আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগ।

সমাবেশ থেকে দেয়া ৭ দফা দাবি হল- মুক্তিযোদ্ধাদের বন্ধ ভাতা চালু করতে হবে; যেসব মুক্তিযোদ্ধার মুক্তিবার্তা, গেজেট, ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তিবার্তা ও প্রধানমন্ত্রীর সনদ আছে তাদের কোনো যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন নেই; সব মুক্তিযোদ্ধার ২০১৯ মহান বিজয় দিবসে পাঁচ হাজার টাকা সম্মানি ভাতা দিতে হবে; যেখানে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রণালয় ও একজন মন্ত্রী আছেন সেখানে জামুকার কোনো প্রয়োজন নেই; মুক্তিযোদ্ধাদের কর্মসংস্থানের জন্য ২০ লাখ টাকা বিনা সুদে ব্যাংক ঋণ দিতে হবে এবং মাসিক ভাতা ২০ হাজার টাকা করতে হবে; মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য স্বতন্ত্র হাসপাতাল নির্মাণ করতে হবে; অনলাইনে যাচাই-বাছাইকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট ও জাতীয় তালিকা প্রকাশ করে ভাতা মঞ্জুর করতে হবে; সেটা ১৬ ডিসেম্বরের ২০১৯ বিজয় দিবসের আগে বাস্তবায়ন করতে হবে।

সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি মো. মজিবুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ১১ বছর যাবৎ ক্ষমতায় আছে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের সমস্যার সমাধান ও ভাগ্যের পরিবর্তন এখনও হয়নি। এতদিন ক্ষমতায় থাকার পরও মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই করতে পারেননি। যাচাই-বাছাইয়ে যারা না-মঞ্জুরকৃত হয়েছিল তাদের আপিল করার সুযোগ দিয়েছিল এবং আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের ভাতা বন্ধ করা যাবে না বলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ ছিল। কিন্তু পরে মন্ত্রণালয় ভাতা বন্ধ করে দেয়। তাই আমাদের দাবি, অতি শিগগিরই আমাদের বন্ধ ভাতা চালু করাসহ ৭টি দাবি মেনে নেয়া হোক।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আমাদের অভিভাবক। আপনি আমাদের অনেক দাবি মেনে নিয়েছিলেন, কিন্তু মন্ত্রণালয়ের ভুল সিদ্ধান্তে মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। যদি আমাদের দাবি না মেনে নেয়া হয়, তাহলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।

এ দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ব্যানারে আলাদা মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ময়মনসিংহের প্রয়াত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হকের পরিবারের জমি বেদখল ও পরিবারের সদস্যদের হুমকির বিচার দাবি করা হয়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হকের পরিবারের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।