যশোরে স্ট্যাম্প ফেরত চাইতে গিয়ে দুই যুবক আহত

সুদখোর আবুল হোসেন ও তার লাটিয়াল বাহিনীর হাতে গুরুতর আহত হয়েছেন শাহিনুর রহমান(৩০) ও ফরিদ উদ্দীন(২৮) নামে দুই যুবক।

আহত শাহিনুর জানান, সুদে টাকার নেওয়ার সময় স্টাম্পে স্বাক্ষর ও মোটরসাইকেল জামানত রাখে আবুল। সুদ আসলে টাকা ফেরত দেওয়ার সময় মোটরসাইকেল ফেরত দিলে স্বাক্ষর কারা স্টাম্প রেখে দেয় আবুল। স্বাক্ষর করা স্ট্যাম্প চাইতে গিয়ে মারপিটের শিকার তারা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোরের মণিরামপুরের রাজগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবক শাহিন ও ফরিদকে রাতেই মণিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করে তার স্বজনরা।

অভিযোগ রয়েছে, সুচতুর আবুল গ্রামের সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে স্টাম্পের বিনিময় উচ্চ সুদে টাকা দেয়। তারা যখন সুদাসলে টাকা ফেরত দেয় আবুল তখন তাদের স্টাম্প ফেরত না দিয়ে নিজের কাছে রেখে দেয়। পরে সুযোগ বুঝে আদালতে তাদের নামে মামলা করে। স্ট্যাম্পের বিনিময় নেওয়া টাকা তিনি দাবি করেন।

জানা যায়, প্রায় মাস খানেক আগে শাহিন ও ফরিদ হানুয়ার গ্রামের আবুল হোসেন ও তার ছেলে শহিনুর রহমানের কাছে একটি মোটরসাইকেল বন্দক রেখে ৩০ হাজার টাকা নেয়। গত দুই/তিন আগে ওই টাকা পরিশোধ করে দেয় তাদের। এসময় বন্দক রাখা মোটরসাইকেলটিও ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

শাহিনুর জানান, টাকা নেওয়ার সময় স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া সেই স্ট্যাম্প ফিরিয়ে দেয়নি আবুল হোসেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজগঞ্জ বাজারের একটি চায়ের দোকানে বসে স্ট্যাম্প ফেরত চাইলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় আবুল হোসেন ও তার ছেলে শাহিন কতিপয় লোকজন নিয়ে কাঠের চলা দিয়ে বে-ধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে শাহিন ও ফরিদকে। রক্তাক্ত অবস্থায় এ সময় তাদেরকে উদ্ধার করে মণিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনরা।

এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন আহত শাহিনের পরিবারের লোকজন। আহত শাহিন ও ফরিদ মনোহরপুর গ্রামের খালেকের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, মোটরসাইকেল বন্দক রাখা আবুল হোসেন ও তার ছেলে শাহিন এলাকার বড় ধরনের সুদে কারবারের কাজ করে। যে কারনে কাউকে টাকা দিলেই তাদের কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।