বগুড়ায় রাজাকারের তালিকায় আ’লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধারা!

রাজাকার ও স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় ৩০ জনের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম রয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অবিলম্বে তালিকাটি সংশোধন করতে সংশ্লিষ্ট প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকার, আলবদর, আল-শামস ও স্বাধীনতা বিরোধীদের নামের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। ওই তালিকায় প্রথমপর্বে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ৩০ জনের নাম রয়েছে। এর মধ্যে রাজাকার নন এমন সাতজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

ওই তালিকায় ১ নম্বরে রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধী হিসাবে বিএনপির সাবেক এমপি আবদুল মজিদ তালুকদার তার তিন ছেলে সাবেক এমপি আব্দুল মোমেন তালুকদার খোকা, আবদুল মান্নান তালুকার ও আবদুল মতিন তালুকদারের নাম রয়েছে।

তালিকার ১৮ নম্বরে রয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক এমপি কছিম উদ্দিন আহম্মেদের নাম। ১৯ নম্বরে আওয়ামী লীগের সাবেক এমএলএ মজিবর রহমান (আক্কেলপুর), ৪ নম্বরে মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার মনছুর আলী, ৯ নম্বরে আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি তাহের উদ্দিন সরদার, ১৬ নম্বরে রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মুক্তিযোদ্ধা জাহান আলী, ৩ নম্বরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আমিরুল ইসলাম, ৭ নম্বরে আওয়ামী লীগ নেতা ফয়েজ উদ্দিন আহম্মেদসহ অনেকের নাম এসেছে।

রাজাকার হিসেবে এদের নাম আসায় আদমদীঘিবাসীরা হতবাক হয়েছেন।

সোমবার দুপুরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, সহ-সভাপতি আবু রেজা খান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল হামিদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ রাজাকারের তালিকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম থাকায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন। তারা অবিলম্বে ওই তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন।

আদমদীঘি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল হামিদ জানান, উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে রাজাকারের তালিকা করা হয়েছে। যারা আওয়ামী লীগের সংগঠক এবং যুদ্ধকালিন কমান্ডার তাদের নাম কীভাবে রাজাকারের তালিকায় এসেছে তা দেখে তারা হতবাক হয়েছেন।

আদমদীঘির যুদ্ধকালিন ডেপুটি কমান্ডার হাফিজার রহমান জানান, মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের সহায়তাকারীদের রাজাকার বানানোর সঙ্গে জড়িতদের বিচার করতে হবে।