ফের মেহেদীর ব্যাটে ঢাকার বড় জয়

আগের ম্যাচে কুমিল্লা ওয়ারির্সের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ঝড়ো ফিকটি করে ঢাকা প্লাটুনকে কাঙিক্ষত জয় এনে দেন বোলিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান। ব্যাটিংয়ে প্রমোশন পাওয়া মেহেদী হাসান এদিনও নামলেন তিন নম্বরে। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও হেসেছে তার ব্যাট। এদিন, তার ২৮ বলে ৫৬ রানের ওপর ওপর ভর করে সিলেট থান্ডারকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ঢাকা। ফিফটি পেয়েছেন তামিম ইকবালও। তবে মেহেদীর ঝড়ো ব্যাটিং-ই মূলত সিলেটকে তাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন সিলেটের মারকুটে ব্যাটসম্যান অন্দ্রে ফ্লেচারের উইকেটটি। স্বাভাবিক ম্যাচসেরা পুরস্কারও উঠেছে এই অলরাউন্ডারের হাতে।

এদিন, সিলেটের দেওয়া ১৭৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ঢাকাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৮ রান তোলেন তারা। দারুণ খেলতে থাকা এনামুল ২৩ বলে ৫ চারে ৩২ রান করে মোসাদ্দেক হোসেনের শিকার হয়ে ফিরে যান। এরপর ব্যাটিংয়ে এসে ঝড় তোলেন মেহেদী। পাশাপাশি তামিমও যোগ্য সঙ্গ দিয়ে যান। তাতে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ায় ঢাকার রানের চাকা। ধীরে ধীরে জয়ের পথে এগোতে থাকে দলটি। সেই পথে ফিফটি তুলে নেন তামিম-মেহেদী। ২৮ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে মেহেদী আউট হলেও জাকির আলিকে নিয়ে বাকি কাজটুকু সারেন তামিম। শেষ পর্যন্ত ৯ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে তারা। তামিম ৪৯ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন। অপর প্রান্তে ১১ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন জাকির।

এর আগে, বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ১৯তম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে সিলেট। তবে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি তাদের। প্রথম বলেই আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আন্দ্রে ফ্লেচারকে তুলে নিয়ে দলকে সাফল্য এনে দেন মেহেদী হাসান। পরে জনসন চার্লসকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন আবদুল মজিদ। ক্রিজে সেট হয়ে যান তারা। এ সময়ে রক্ষণাত্মক ছিলেন মজিদ। তবে খোলস ছেড়ে বের হতে শহীদ আফ্রিদির প্রথম শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। সেখান থেকে মোহাম্মদ মিথুনকে নিয়ে ঢাকা বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালান চার্লস। শাদাব খানের বলে আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৫ বলে ৮ ছক্কার বিপরীতে ৩ চারে ৭৩ রানের টর্নেডো ইনিংস। এরপর ব্যাটিংয়ে এসে ব্যর্থ মোসাদ্দেক হোসেন। আফ্রিদির শিকার হয়ে ফেরেন তিনি।
পরে মিঠুনকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দেন শেরফান রাদারফোর্ড। শেষদিকে দুজনই ঝড় তোলেন। তাতে প্রত্যাশানুযায়ী সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় সিলেট। শেষ অবধি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৪ রান তুলতে সক্ষম হয় তারা। ৩১ বলে ৪৯ রানে মিঠুন এবং ২৮ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন রাদারফোর্ড। ঢাকার হয়ে আফ্রিদি সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন।