মুরগি ‘খুন’, ময়নাতদন্তের দাবি নিয়ে থানায় দম্পতি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে মুরগিকে ‘খুন’ করা হয়েছে এমন অভিযোগ নিয়ে থানায় হাজির হয়েছেন এক দম্পতি। এমনকি মুরগির ময়নাতদন্তও দাবি করেছেন তারা।

তাদের অভিযোগ আর দাবির কথা শুনে ভিমরি খাওয়ার যোগাড় পুলিশ কর্মকর্তার। যদিও পরে ওই দম্পতির চাপাচাপিতে অভিযোগ শুনতে হয় পুলিশ কর্মকর্তার। এমনকি পুলিশ এক পর্যায়ে ময়নাতদন্তেরও আশ্বাস দেন।

জলপাইগুড়ির ধাপগঞ্জের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম এবং মুনসুরা বেগম দম্পতির এ কাণ্ড এখন গোটা রাজ্যের আলোচনার কেন্দ্রে।

আমিনুল ইসলাম এবং মুনসুরা বেগমের বেশ কয়েকটি পোষ্য মুরগি রয়েছে। তারা মালিক এবং তার প্রতিবেশীর জমি সীমানা বোঝে না। তাই তো মাঝেমধ্যেই প্রতিবেশী ইমাজ্জিন আলীর মরিচ ক্ষেতে ঢুকে পড়ে ওই ১০টি মুরগি।

তাদের আনাগোনা ভাল চোখে দেখতেন না ইমাজ্জিন।

অভিযোগ, গত ২৩ ডিসেম্বর খেতে ঢুকে পড়া মুরগির জন্য বিষ মেশানো মুড়ি, ভাত ছড়িয়ে রাখে ইমাজ্জিন। ওই খাবার খায় ১০টি মুরগি।

মালিকের দাবি, খাবার খাওয়ার পর আটটি মুরগিই মারা গিয়েছে। কীভাবে মুরগিগুলো মারা গেল, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি দম্পতির। মুনসুরা তার প্রতিবেশীর বাড়িতে যান। ঝগড়াঝাটির মাঝে ইমাজ্জিন তার শ্লীলতাহানি করে বলেও অভিযোগ।

পরে মরা মুরগিগুলোকে নিয়ে সোজা জলপাইগুড়ি আদালতেই যান আমিনুল এবং মুনসুরা। সেখান থেকে দু’জনকে কোতোয়ালী থানায় পাঠানো হয়।

পুলিশ বলছে, ওই দম্পতি তাদের মুরগিগুলো ‘খুন’ হয়েছে দাবি করে ময়নাতদন্ত চাইছেন। যদিও আইন অনুযায়ী, কোনো পশু বা প্রাণীকে খুন করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে সেক্ষেত্রে পুলিশের অভিযোগ নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পুলিশ অভিযোগ নেয়ার পাশাপাশি মুরগিগুলির ময়নাতদন্তের আশ্বাস দেয়। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন