জালিয়াতির অভিযোগে যশোরের রুদ্রপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষককে শোকজ

যশোর সদর উপজেলার রুদ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল করে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি জরুরী সভা ডেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে। কেন তাকে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে বহিস্কার করা হবে না এ মর্মে আগামি সাত দিনের মধ্যে সঠিক জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তি সরকারের বিরুদ্ধে নানা দূর্নীতির তথ্য উঠে আসছে। অনেকে তার সহযোগি হিসেবে সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম ও শিক্ষক মিজানুরকে দোষারোপ করছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন তারা।

অভিযোগ রয়েছে যশোর সদর উপজেলার রুদ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক প্রতিনিধির স্বাক্ষর জাল করে অবৈধভাবে দু’শিক্ষক নিয়োগ দেন। যা পরে জানাজানি হয়ে যায়। এ নিয়ে গত রোববার জরুরী সভার ডাক দেয় স্কুল পরিচালনা কমিটি। কমিটির সভাপতি ডাক্তার আব্দুর রহমান কারন দশানোর নোটিশ প্রদান করেন।

এদিকে, স্কুলের সাধারণ শিক্ষকরা বলছেন, প্রধান শিক্ষক মৃনাল ও সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম মিলে স্কুলকে ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা আত্বসাৎ করেছে।
তারা জানান, মৃনালকান্তি সহ তার সহযোগিরা কাউকে কিছু না জানিয়ে স্কুল প্রাঙ্গন থেকে গাছ কেটে সাবাড় করেছে। এছাড়া বিক্রিত গাছের তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা কিভাবে খরচ করেছে বর্তমান কমিটির কাছে তার সঠিক কোনো হিসাব দেখাতে পারেনি। এর বাইরে তিনি স্কুল নির্মানের নামে অহেতুক খরচ দেখিয়ে নিজে ওই সব টাকা পকেটস্থ করেছেন বলেও গুরুতর অভোগ করেন শিক্ষকরা।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ওই স্কুলে মিনিস্ট্রি অডিডে আসেন ড.এনামুল হক। নিজের কু-কৃত্বী ঢাকার জন্য স্কুলের প্রত্যেক শিক্ষক ও কর্মচারীদের কাছথেকে এক মাসের বেতন কেটে রাখে প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তি। যা অডিট অফিসারকে দেয়ার কথা বলে তিন লাখ ছয় হাজার টাকা বাগিয়ে নেন মৃনাল কান্তি।
এছাড়া, ২০১৮ সালের পহেলা জুন স্কুলের আয় ব্যায়ের পর অবশিষ্ট ৫৪ হাজার টাকার হিসেব স্কুল কমিটির কাছে দিত ব্যর্থ হন। এ ছাড়া প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তির বিরুদ্ধে ভুয়া বিল ভাওচার করে বিভিন্ন ক্ষ্যাত থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন সাধারণ শিক্ষকেরা।

তারা আরো বলেন, মৃনাল কান্তি নিজে এক জন প্রভাবশালী নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে নানা ধরনের অপকর্ম করে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কথা বললে মামলা হামলার ভয় দেখান। ইতোমধ্যে তার আক্রশে শিক্ষকদের নানা ভাবে লাঞ্চিত করা হচ্ছে। তার কথা মত না চললে চাকরিচুত্যের ভয় দেখাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তি।