বাংলা ভাষা বিশ্বের সাথে পরিচয় ঘটিয়েছেন মধুসূদন

যশোরের কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলার দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মধুমঞ্চে বিষয় ভিত্তিক আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, বাংলা ভাষায় সাহিত্য রচনা করে বিশ্বের সাথে মাতৃভাষার পরিচয় ঘটিয়েছেন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তিনি ইতিহাসে আপন মহিমায় উজ্জ্বল নক্ষত্র। ক্ষণজন্মা পুরুষ হিসেবে তাঁর আর্বিভাব ছিলো বাংলা সাহিত্যে উষার অঙ্গনে দেবদূতের মত। তাঁর মেধা ও মননশীল সৃষ্টি চেতনায় সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যশোরের জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ। আলোচনা সভার পূর্বে আমন্ত্রিত অতিথিরা কেশবপুরের সদ্য প্রয়াত এমপি ইসমাত আরা সাদেকের স্মরনে দাড়িতে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, যশোর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম রফিকুন্নবী, কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের উপ পরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন ও খুলনার সরকারি আজম খান কমার্স কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক অসিত বরন ঘোষ।

আলোচনা করেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক তানভির দুলাল, মনিরামপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারি অধ্যাপক সফিয়ার রহমান, কবি সাইফুদ্দিন সাইফুল, হোসাইন নজরুল, যশোর স্বুরধনীর সভাপতি হারুন আর রশিদ, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান নান্নু, সাংবাদিক ও ছড়াকার সাজ্জাদ গনি খান রিমন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি তপন কুমার ঘোষ মন্টু। অনুষ্ঠান পরিচালনা উপজেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুন্ডু শিক্ষক উজ্জল ব্যানার্জী। আলোচনা সভার পূর্বে ও পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এবারের মেলায় সার্কাস, মৃত্যুকুপ, নাগরদোলা ছাড়াও কুঠির শিল্প ও গ্রামীন পসরার প্রায় ৫০০ স্টল বসেছে।
দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ব বৃহৎ এই মেলায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প, কৃষি ও লোকজ সামগ্রীর সমাহারসহ বিভিন্ন প্রকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। কবির জন্মজয়ন্তী ও মধুমেলা উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মধুমেলায় উন্মুক্ত মঞ্চে প্রতিদিন মহাকবির জীবনীর উপর আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের পাশাপাশি সার্কাস, ইঞ্জিন ট্রেন, মৃত্যুকুপ ও বিসিকের স্টল। প্রতিদিন কবির সৃষ্টি, সাহিত্য ও জীবনীর উপর বিষয় ভিত্তিক আলোচনায় অংশ গ্রহণ করবেন দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কবি সাহিত্যিকগণ। এ ছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় মধু মঞ্চে দেশের বরেণ্য খ্যাতিমান শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করবেন।