মুমিনুলের পর মুশফিকেরও সেঞ্চুরি

উইকেট বনে গেছে ব্যাটিং স্বর্গ। অধিকন্তু নখদন্তহীন বোলিং করছেন জিম্বাবুয়ে বোলাররা। এর ফায়দাটা দারুণভাবে লুটছেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। ব্যাটে স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছুটিয়ে লাঞ্চের আগেই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মুমিনুল।

পরে তিন অংক ছুঁলেন মুশফিক। এন্সলে এনদিলোভুকে গালি দিয়ে চার মেরে এ তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারে সপ্তম সেঞ্চুরি। মিস্টার ডিপেন্ডেবলের সবশেষ সেঞ্চুরিও জিম্বাবুইয়ানদের বিপক্ষে। গেল নভেম্বরে ঘরের মাঠে ডাবল সেঞ্চুরি করেন তিনি। এবার কত রানে আউট হন তাই দেখার।

শেষ খবর পর্যন্ত ৩ উইকেটে ৩৭৬ রান করেছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে ১১১ রানের লিড নিয়েছেন টাইগাররা। মুমিনুল ১২২ রান নিয়ে ক্রিজে রয়েছেন। মুশফিক ১১৭ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। এরই মধ্যে দুই শতাধিক রানের পার্টনারশিপ গড়ে ফেলেছেন তারা। স্বভাবতই বড় লিডের পথে স্বাগতিকরা।

আগের দিনের ৩ উইকেটে ২৪০ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ। মুমিনুল হক ৭৯ এবং মুশফিক ৩২ রান নিয়ে খেলার গোড়াপত্তন করেন। নেমে স্বচ্ছন্দে খেলতে থাকেন তারা। শক্তভাবে ক্রিজে সেট হয়ে যান এ জুটি। স্বভাবতই ছন্দময় ব্যাটিং উপহার দেন মুমিনুল-মুশফিক।

জিম্বাবুয়ে বোলারদের রীতিমতো তোপ দাগান তারা। পথিমধ্যে টেস্ট ক্যারিয়ারে নবম সেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল। তবে অধিনায়ক হিসেবে এটি তার প্রথম তিন অংক ছোঁয়া ইনিংস। ডোনাল্ড তিরিপানোকে বাউন্ডারি মেরে এ তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তিনি।

ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৯ সেঞ্চুরির মালিক তামিম ইকবাল। এদিন দুর্দান্ত শতক দিয়ে সেই রেকর্ডে ভাগ বসান মুমিনুল। এর সুবাদে ক্রিকেটের লংগার ভার্সনে পয়েট অব ডায়নামোর সেঞ্চুরি সংখ্যাও দাঁড়ায় ৯টি।

দলীয় এ সংগ্রহের পথে তামিম ইকবালের অবদান ৪১ রান। আর ৭১ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ১০৬.৩ ওভারে ২৬৫ (আগের দিন ২২৮/৬) (মাসভাউরে ৬৪, কাসুজা ২, আরভিন ১০৭, টেইলর ১০, রাজা ১৮, মারুমা ৭, চাকাভা ৩০, তিরিপানো ৮, এনদিলোভু ০, টিসুমা ০, নিয়াউচি ৬*; এবাদত ১৭-৮-২৬-০, আবু জায়েদ ২৪-৬-৭১-৪, নাঈম ৩৮-৯-৭০-৪, তাইজুল ২৭.৩-১-৯০-২)।