যশোর এম এম কলেজে উচ্ছৃংখল ছাত্রদের হামলার শিকার পুলিশ সদস্য

mm collage jessore

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কলেজ ছাত্রকে মারপিটের তথ্য সংগ্রহ করতে যেয়ে যশোর এম এম কলেজে তহিদ নামে পুলিশের (ডিএসবি) এক সদস্য হামলার শিকার হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হামলার ঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় প্রায় অর্ধশত পুলিশ এম এম কলেজে অভিযান চালিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত কলেজ ছাত্রকে আটক করে।

আটককৃতরা সবাই আসাদ হলের ছাত্রাবাসে থাকে বলে ছাত্ররা জানান। তবে পুলিশ ছাত্র আটকের ঘটনাটি এড়িয়ে যাচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও কলেজ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে এম এম কলেজ চত্বরে প্রতিষ্ঠানের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রীকে উচ্ছৃংখল কতিপয় ছাত্র ইভটিজিং করে। এর প্রতিবাদ করে সাদ্দাম নামে কলেজের চতুর্থ বর্ষের একছাত্র। এতে উচ্ছৃংখল ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হয়ে সাদ্দামকে বেদম মারপিট করে। সাদ্দামকে মারপিট ও ইভটিজিংয়ের তথ্য সংগ্রহ করতে যায় ডিএসবির সদস্য তহিদ। এসময় উচ্ছৃংখল ছাত্ররা ডিএসবির সদস্যকেও মারপিট করে।

পুলিশ সদস্যকে মারপিটের খবর ছড়িয়ে পড়লে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলামের (ডিএসবি) নেতৃত্বে ডিআই ওয়ান মশিউর রহমান, ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহমেদ, কোতয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) তাসমিম শেখ, এস আই নুরসহ প্রায় অর্ধশত পুলিশ তৎক্ষনাত এম এম কলেজে অভিযান চালান। এসময় পুলিশের উপর হামলাকারি উচ্ছৃংখল ছাত্রদের আটক করতে না পারলেও তাদের সহযোগী ১১ ছাত্রকে জিজ্ঞাসবাদের জন্য আটক করে বলে পুলিশ জানায়।

ডিবির ওসি মারুফ আহমেদ জানান, এম এম কলেজের অধ্যক্ষের অনুমতি নিয়ে আমরা অভিযান চালায়। প্রকৃত হামলাকারিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাদের আটক না করা পর্যন্ত নাম প্রকাশ করা সম্ভব না।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম পুলিশ সদস্যের (ডিএসবি) উপর হামলার ঘটনাটি স্বীকার করে বলেন, প্রকৃত হামলাকারিরা এখনো আটক হয়নি। পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে। তবে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।