তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির রাজনীতি খালেদা জিয়ার হাঁটুর ব্যাথা আর কোমরের ব্যাথার মধ্যে ঢুকে গেছে। জনগণের কোন কথা নাই, খালেদা জিয়ার টেম্পারেচার বাড়ছে খালেদা জিয়ার টেম্পারেচার কমছে, ওদের রাজনীতি এখন খালেদা জিয়ার টেম্পারেচারের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন খালি পায়ে কোন মানুষ দেখা যায় না, এটা হলো দিনবদল। ১৫ কোটি মানুষের হাতে এখন মোবাইল, এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ। কোন ভিক্ষুক এখন চাল ভিক্ষা নেয় না, দুই টাকা দিলে গালি দেয়, পাঁচ টাকা দিলে তাঁকিয়ে থাকে আর দশ টাকা দিলে মোটামুটি খুশি হয়- এটাই দিন বদল। পল্লী কবি জসিম উদ্দীন কুঁড়ে ঘর নিয়ে কবিতা লিখেছেন, এখন দেশে কুঁড়ে ঘর খুঁজে পাওয়া যায় না। কুঁড়ে ঘর এখন টিনের চালা হয়ে গেছে, কুঁড়ে ঘর আছে কবিতায়, বইয়ের পাতায়। বাংলাদেশ বদলে গেছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার কারাগারে দুই বছর পূর্তিতে বিএনপি’র ছেলে মেয়েরা যেভাবে ব্যান্ডের তালে তালে নাচলো আর যুব মহিলা দলের মেয়েরা যেভাবে সাঁজগোজ করলো, তাতে মনে হয় খালেদা জিয়া জেলে থাকাতে তারা খুব খুশি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আইন-আদালত নিয়ে কথা বলার অধিকার বিএনপির নেই। বিএনপির আমলে আদালতের স্বাধীনতা ছিলনা। তারা ল’ডিগ্রী ছাড়া লোককে হাইকোটের বিচারক বানিয়েছে, তারা রাতে কোর্ট বসায়ে বিচার করেছে, দিনে প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছে, তারাই আবার আদালত নিয়ে বড় বড় কথা বলে। বিচার ব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য করার বিএনপি’র অধিকার নাই।
আজ বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করছে। তার প্রমান পিরোজপুর। সেখানকার আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি’র বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়াও আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতা-কর্মী অপরাধের দায়ে কারাগারে রয়েছে। আর বিচারক বদলির বিষয়ে ইতিমধ্যে আইনমন্ত্রী ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপি’র রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে অনেক আগে। বিএনপি’র ভাড়াটিয়া নেতা ড. কামাল হোসেন। আওয়ামী লীগ করত, বেঈমানী করে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গেছে। গত নির্বাচনে তাকে বিএনপি ভাড়া করে নিয়ে এসেছে। কামাল হোসেন নাকি তার গণফোরামকে বাতিল করে দিয়েছে। কামাল হোসেন কে বলতে চাই, আপনি একদিন নিজেই বাতিল হয়ে যাবেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মঈনুদ্দীন মন্ডলের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, বেগম আখতার জাহান, সাহাবউদ্দীন ফরাজী, ডা. শিমুল এমপি, ফেরদৌসী ইসলাম জেসি এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদদু প্রমূখ।
পরে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে পুনরায় মঈনুদ্দীন মন্ডলকে সভাপতি ও আব্দুল ওদুদকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। এছাড়া জিয়াউর রহমান জিয়া ও রুহুল আমিনকে সহ-সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।