করোনার থাবায় সহজে কাবু হচ্ছে যারা

চীনে মহামারী রূপ নেওয়ার পর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে বিশ্বের ৯৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।

এরই মধ্যে এক লাখ ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এই ভাইরাসে। মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৫৯৫ জন।

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে নারী ও শিশুদের তুলনায় পুরুষের মৃত্যুর হার বেশি।

চাইনিজ সেন্টারস অব ডিজিজ কন্ট্রোলের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এ তথ্য দিয়েছে বিবিসি। এক্ষেত্রে ৪৪ হাজার রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।

এই রোগীদের যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ২.৮ শতাংশ পুরুষ, নারী ১.৭ শতাংশ। বিপরীতে শিশু ০.২ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি মারা যাচ্ছে বয়স্ক মানুষ, প্রায় ১৫ শতাংশ।

সাধারণ ফ্লু যখন ছড়িয়ে পড়েছিল, তখনও একই অবস্থা দেখা গেছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, লাইফস্টাইলের কারণে এই পার্থক্য। পুরুষেরা এমনিতে বাইরে বেশি ঘোরাফেরা করেন, তার ওপর অনেকে আবার ধূমপান করেন। যার কারণে ফুসফুসের ক্ষতি তাদের বেশি হয়। আর এই ধরনের ভাইরাস ফুসফুসকেই আগে আক্রমণ করে।

চীনে বেশি পুরুষ মারা যাওয়ার কারণও এই ধূমপান। দেশটির ৫২ শতাংশ পুরুষ ধূমপান করেন। সেখানে নারীদের মধ্যে এই অভ্যাস আছে ৩ শতাংশের।

এসবের পাশাপাশি নারীদের ইনফেকশন প্রতিরোধ-ব্যবস্থাও আলাদা।

পূর্ব আঞ্জলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর পল হান্টার বলেন, ‘ফ্লু প্রতিরোধে নারীদের শরীর ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে ভালো অ্যান্টিবডি উৎপন্ন করে।’

শিশুদের কম আক্রান্ত হওয়ার পেছনে কিংস কলেজ লন্ডনের ডাক্তার নাথালি ম্যাকডার্মটের যুক্তি, ‘মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর মা-বাবা সবার আগে শিশুদের বাড়তি যত্ন নেয়। তাদের সুস্থতার জন্য এটি একটি কারণ।’