যশোরের এনায়েতপুরে অগ্নিকান্ডে পুড়লো কৃষকের বাড়ি

বসত ভিটের অল্পটুকু জায়গা ছাড়া তাদের কোন চাষযোগ্য জমি নেই। পরের জমি বর্গা নিয়ে বাবার সাথে চাষ করতেন। বার্ধক্যের ভারে বাবা এখন আর কাজ করতে পারে না। তাই তাকে এক বেলা মাঠ সামলিয়ে অন্য বেলা দোকানদারি করে সংসার চালাতে হিমশিত খেতে হয়। সেজন্য অভাবের সংসারের স্বচ্ছলতা ফেরানোর স্বপ্নে ধারদেনা করে তিন বছর হল ছোট ভাইকে বিদেশ পাঠিয়েছিলেন।

ধারদেনা শোধ করে সবেমাত্র সচ্ছলতা ফিরতে শুরু করেছিল। কিন্তু তার আর হল কই! ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে মুহুর্তের মধ্যে কৃষক মামুনের সাজানো সংসারের সব পুড়ে ছাই হয়ে গেল।

সোমবার যশোর সদরের লেবুতলা ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। মামুন ঐ গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলেও ততক্ষনে পরিবারটির তিনটি ঘর ও ঘরের ভেতরে থাকা আসবাবপত্র, কাপড়-চোপড়সহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

প্রতিবেশী মহিলারা জানায়, বেলা ১২টার দিকে মামুনের স্ত্রী শিলার চিৎকারে তারা ছুটে এসে দেখে ঘরের পাশে পাটকাটির গাদায় আগুন জ্বলছে। এ সময় তারা আগুন নিভানোর চেষ্টা করলে ব্যর্থ হয়। গ্রামের অধিকাংশ পুরুষই কৃষিকাজের সাথে জড়িত থাকায় ঐ সময় তারা কেউই বাড়ীতে ছিল না। খবর পেয়ে তারা পার্শ্ববর্তী মাঠ থেকে ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে চেষ্টা করে এবং যশোর ও বাঘারপাড়া ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। তবে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আসার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেললেও ততক্ষনে ভয়াবহ আগুনের লেলিহানে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানায়, এ ঘটনায় তাদের প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এ ব্যাপারে সন্ধ্যায় বাঘারপাড়া ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত ষ্টেশন মাষ্টার মিজবাহুর ফকিরকে ফোন করলে তিনি নামাজে থাকায় ফায়ারম্যান মনোজিৎ ফোন রিসিভ করেন। তিনি বলেন, আমরা খবর পাওয়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে বেরিয়ে পড়ি। ঘটনাস্থলের দুরত্ব ১৩ কিলোমিটার হওয়ায় একটু সময় তো লাগবেই।

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, শর্টশার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।