ভারতের মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা কমল নাথ ইস্তফা দিয়েছেন। আজ (শুক্রবার) ভোপালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। কমল নাথ বলেন, ‘কোনোকালেই আমি লেনদেনের রাজনীতির অংশ ছিলাম না। দীর্ঘ ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কেউ এ নিয়ে আমার দিকে আঙুল তুলতে পারবে না।’ সংবাদ সম্মেলন শেষ করেই রাজ্যপাল লালজি টন্ডনের কাজে পদত্যাগপত্র জমা দিতে যান তিনি।
সম্প্রতি কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ত্যাগ করলে তাঁর অনুগামী ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দেন। এরপর থেকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন কমল নাথ সরকার সঙ্কটে পড়ে। অন্যদিকে, বিদ্রোহীরা বিজেপি’র দিকে পা বাড়ানোয় সেই থেকে কমল নাথ সরকারের পতন ঘটিয়ে বিজেপি নিজেরা ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছলে গতকাল (বৃহস্পতিবার) আদালত আজ (শুক্রবার) বিকেল ৫টার মধ্যে আস্থা ভোটের মাধ্যমে কমল নাথ সরকারকে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দেয়। বিজেপির করা এক মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট জানায় যে, মধ্যপ্রদেশের অনিশ্চয়তার পরিস্থিতি কাটাতে আস্থা ভোটের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা উচিত। এভাবে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় কমল নাথের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়া অসম্ভব হয়ে ওঠায় শেষমেশ রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগ করেন।
বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কদের বেঙ্গালুরুর একটি রিসোর্টে রাখার অভিযোগ করে আজ কমল নাথ বলেন, জ্যোতিরাদিত্যের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে বিজেপিই ওই ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার সরকারকে উৎখাত করতে এক তথাকথিত মহারাজার (জ্যোতিরাদিত্য) সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করেছে বিজেপি। ওরা ভাবছে এভাবে আমার প্রদেশের মানুষকে হারিয়ে জিতে যাবে। কিন্তু তা হবে না।’
কমল নাথ আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রদেশে বিজেপি ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল। আমি পাঁচ বছর কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম, যার মধ্যে মাত্র ১৫ মাস কাজ করতে পেরেছি। কিন্তু এই ১৫ মাসে বিজেপি কী ষড়যন্ত্র করেছে, মানুষ তা ভালোভাবেই জানে। যেদিন থেকে আমি ক্ষমতায় এসেছি, সেদিন থেকেই ওরা আমাদের সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা শুরু করে। ওরা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।’