চসিক, যশোর-৬ ও বগুড়া-১ আসনের নির্বাচন স্থগিত

ec vobon

করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন এবং যশোর-৬ ও বগুড়া-১ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

উল্লেখ্য, ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি, দুই আসনে উপনির্বাচন ছাড়া কিছু স্থানীয় সরকার নির্বাচন ছিল।

সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার কমিশনার ও ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

যদিও করোনায় সৃষ্ট ক্রান্তিকালের মধ্যেই আজ শনিবার ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনের উপনির্বাচনে ভোট হচ্ছে।

ইসি সচিব বলেন, ‘আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন, বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের যে উপনির্বাচন রয়েছে। এছাড়াও কিছু সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন পদে উপনির্বাচন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ বা উপনির্বাচন আছে – সকল নির্বাচন আমরা স্থগিত করছি।’

মো. আলমগীর বলেন, ‘যদিও বাংলাদেশে এটা খুবই করোনা ভাইরাস খুবই সীমিত পর্যায়ে রয়েছে। মহামারী আকারে বাংলাদেশে এখনও ছড়ায়নি। আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে, তবে এটা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। তবুও নির্বাচন কমিশন সবার স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে সমস্ত নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সকল ধরনের নির্বাচন বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে যখন করোনা ঝুঁকিমুক্ত বলা হবে, তখন নির্বাচন কমিশন পরবর্তীতে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করবে।’

সাংবিধানিক বিধি-বিধান তুলে ধরে ইসি সচিব বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে দিন-ক্ষণের বাধ্যবাধকতা আছে। একটি আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। আর সিটি করপোরেশনগুলোর ক্ষেত্রে ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে এ ধরনের বাধ্যবাধকতা নেই। এছাড়া যদি দৈব-বিপাক হয়, সেক্ষেত্রে আরও ৯০ দিন পরে নির্বাচন করার প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ক্ষমতা দেয়া আছে নির্বাচন করার। দুই ৯০ দিন যোগ করলে হয় ১৮০ দিন বা ৬ মাস। এতদিন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আতঙ্ক হয়ে থাকবে বলে আমি মনে করি না। সকলের প্রচেষ্টায়, স্বাস্থ্য সচেতনতার মাধ্যমে এবং সারাবিশ্ব যেভাবে করোনা নিয়ে কাজ করছে, এটা হয়তো অল্প সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। আশা করি, নির্বাচন কমিশন সংবিধানের যে সময় আছে, তার মধ্যে সংসদীয় নির্বাচনগুলো করতে পারবে।’