যশোরে দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত : সকালের আদেশ বিকেলে প্রত্যাহার

জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার কারণে যশোর পৌর এলাকার দোকানপাট এক সপ্তাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত আজ রবিবার বিকেলে যশোর জেলা প্রশাসনের সভা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসাথে ফেসবুকে ‘যশোর লকডাউন’ বলে যে গুজব ছড়িয়েছে তা ভিত্তিহীন উল্লেখ করে জনগণকে প্রশাসনের উপর আস্থা রাখতে আহবান জানানো হয়েছে।

রবিবার দুপুর ২টার দিকে যশোর পৌর কর্তৃপক্ষ পৌর শহরের বড় বাজারের ব্যবসায়ী ও সমিতির নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে ব্যবসায়ীদের সম্মতিক্রমে আগামীকাল ২৩ মার্চ থেকে এক সপ্তাহ মুদি, হোটেল রেস্টুরেন্ট এবং ওষুধের দোকান বাদে যশোর পৌর এলাকার সকল দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবং দুপুর ১টা পর্যন্ত কাচা বাজার খোলার রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

পরবর্তীতে সভার সিদ্ধান্ত স্যোশাল মিডিয়ায় যশোরে ‘লকডাউন’ বলে ছড়িয়ে পড়ে। এবং তা ভাইরাল হয়ে যায়। এক ঘণ্টার মধ্যে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হওয়ায় জেলা প্রশাসক বিকেল ৪টায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, পৌরমেয়র, পুলিশ সুপার ও সাংবাদিকদের নিয়ে জরুরি সভা আহবান করেন।

ওইসভায় পুনরায় ব্যবসায়ীদের মতামত জানতে চাওয়া হয়। এ সময় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এক সপ্তাহের জন্য দোকানপাট বন্ধের ব্যাপারে তাদের আপত্তি নেই বলে জানান এবং জেলা প্রশাসককে সিদ্ধান্ত দেবার অনুরোধ করেন।

সভা শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ শফিউল আরিফ পৌর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন। এ সময় তিনি বলেন, সরকার যশোরের ব্যাপারে এমন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাছাড়া ‘লকডাউন’ বলে গুজবে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তবে সকলকে সচেতন হতে হবে। ফলে ব্যবসায়ীরা সচেতন হবেন এবং আপনারা দোকান কত সময় খোলা রাখবেন নিজেরাই নির্ধারণ করে নেবেন। যশোরের অবস্থা যদি খুব খারাপ পর্যায় যায় তাহলে প্রশাসনই তখন প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে।

সভায় পৌরমেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু বলেন, ব্যবসায়ীদের মতামতের ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যেহেতু বাজার এলাকায় জনসমাগম বেশি হয় তাই ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বসে প্রতিষ্ঠান বন্ধ বা কত সময় খোলা রাখলে ভালো হবে তারা নিজেরা সিদ্ধান্ত নেবেন।

পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন এসময় বলেন, করোনাভাইরাসের অন্যতম ভ্যাকসিন হচ্ছে সচেতনতা। ব্যক্তিপর্যায়ে সবাই সচেতন হলে আমরা এর থেকে পরিত্রাণ পাব। তাই সকলকে সচেতন ও পরিস্কার পরিচ্ছন থাকার পাশাপাশি আশপাশের পরিবেশও পরিস্কার রাখতে আহবান জানান।