ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ৫১ জনকে হত্যার দায় স্বীকার হামলাকারীর

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ভয়াবহ বন্দুক হামলা চালিয়ে ৫১ জনকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন হামলাকারী অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে নিউজিল্যান্ডে এখন লকডাউন চলছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে বৃহস্পতিবার ক্রাইস্টচার্চ হাইকোর্টে সংক্ষিপ্ত পরিসরের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই তার বিরুদ্ধে আনা সব দোষ স্বীকার করেন তিনি। খবর বিবিসির।

গত বছরের ১৫ মার্চ ফেসবুকে লাইভ করে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে অবস্থিত ‘আল নূর’ এবং ‘লিন্ডউড’ মসজিদে হামলা চালান ব্রেন্টন। ওই হামলায় ৫১ জন নিহত এবং ৪৯ জন আহত হন। সেসময় হামলাকারী ২৯ বছর বয়সী ব্রেন্টনের বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়। তবে শুরু থেকে দোষ অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন তিনি।

শুনানিতে সাধারণ কাউকে থাকতে দেওয়া হয়নি। এমনকি আদালতে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না ব্রেন্টনও। অকল্যান্ড কারাগার থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রমে যুক্ত হন তিনি। এসময় ওই দুই মসজিদের দু’জন ইমাম হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিনিধি হিসেবে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

ব্রেন্টনের দোষ স্বীকার হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের জন্য ‘স্বস্তিদায়ক’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা আরডেন।

ব্রেনটন দোষ স্বীকার করা পর মোট ৯২টি অভিযোগে কবে নাগাদ তার দণ্ড ঘোষণা করা হবে, তা এখনো নির্ধারণ করেননি আদালত। তবে আদালত বলেছেন, প্রত্যেকটি অভিযোগেই ব্রেনটনকে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ড দেওয়া হবে।