কেশবপুরে করোনা আতঙ্কে জ্বর, সর্দি-কাশির রোগীর চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগ

করোনা ভাইরাস আতঙ্কে কেশবপুর উপজেলায় সাধারণ জ্বর ও সর্দি-কাশির রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার পাচপোতা গ্রামে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত মিলন সিংহ নামে এক ব্যক্তিকে এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসকরা এড়িয়ে যেতে থাকলে করোনা আতঙ্কে ওই গ্রামের বাসিন্দারা নির্ঘুম রাত কাটাতে থাকে। অবশেষে পুলিশের সহযোগিতায় অসহায় পরিবারের সংকটাপন্ন ওই ব্যক্তিকে সোমবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আক্রান্তের ছেলে তিলক সিংহ জানান, তার বাবা মিলন সিংহ গত ১৯ মার্চ সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হয়। এরপর মঙ্গলকোট বাজারে স্থানীয় ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রোববার তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এর ১৫ মিনিট পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ছাড়পত্র দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এদিন দুপুরের দিকে তাকে খুমেক হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ব্যক্তিরা ডায়াবেটিক হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেয়। কিন্তু ডায়াবেটিক হাসপাতাল গেটের দারোয়ান তাকে ঢুকতে না দেওয়ায় পুনরায় খুমেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক দূর থেকে তার ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।

এ দিকে গ্রামে ফেরার পর এ ঘটনা মানুষের মুখে মুখে প্রচার হলে চারিদিকে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে গ্রামবাসী ওই পরিবারকে এড়িয়ে চলতে থাকে। অবশেষে তার পরিবার বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করলেও কোন সহযোগিতা না পেয়ে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানায়। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ উজ জামান খান থানার ওসিকে ঘটনাটি জানালে তিনি অফিসার পাঠিয়ে তাকে বাড়ি থেকে এনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

কেশবপুর থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, সাংবাদিকরা জানালে উপ-পরিদর্শক ফজলে রাব্বিকে পাচপোতা গ্রামে মিলন সিংহের বাড়িতে পাঠিয়ে তাকে এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, রোববার তাকে প্রথম হাসপাতালে ভর্তির পর পরিবারের পক্ষ থেকে অন্যত্র চিকিৎসার জন্য বলা হলে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। মূলত তিনি জ্বর, সর্দি-কাশি ও অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত। হাসপাতালেই তার চিকিৎসা চলছে।