যশোর হাসপাতালের আইসোলেশনে শিশুর মৃত্যু

jessore hospital

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ বছর বয়সী এক কন্যা শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার সকাল ৬টায় তার মৃত্যু হয়। রোববার বিকেলে ওই শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ জানান, ভর্তির সময় মেয়েটির শরীরে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট থাকায় তাকে হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। আজ সকালে আইইডিসিআর’র স্থানীয় প্রতিনিধিদের তার নমুনা সংগ্রহ করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শিশুটি মারা যায়।

এদিকে মৃত্যুর পর আইইডিসিআর’র প্রতিনিধিরা শিশুটির উপসর্গ শুনে বলেছেন সে করোনায় আক্রান্ত ছিল না। তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

জানতে চাইলে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, ওই শিশুটিকে হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি করা হয়েছিল। তার নিউমোনিয়া প্রবলেম ছিল। আমরা আইইডিসিআরে বিষয়টি জানালে তারা স্যাম্পল পাঠাতে নিষেধ করে। কেননা করোনা পরীক্ষার জন্যে ওই শিশুর বেশকিছু নমুনা অনুপস্থিত ছিল। যেমন, তার বয়স ১২ বছর এবং সে কোনও বিদেশফেরত মানুষের সংস্পর্শে যায়নি।

কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি রোগীর রক্ত পরীক্ষা ছাড়া বলা অসম্ভব। প্রত্যেক মানুষই যেকোনও রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তার কার্ডিওরেসপেক্টরি ফেইলিওর হয়। করোনা আক্রান্তের মৃত্যুতেও কার্ডিওরেসপেক্টরি ফেইলিওর হয়। ফলে নির্দিষ্ট রোগ শনাক্তে পরীক্ষা নিরীক্ষার কোনও বিকল্প নেই।

শনাক্ত ছাড়া মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরে কোনও শঙ্কা থেকে যায় কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শতভাগ নিশ্চিত করে বলতে হলে- পরীক্ষা করতেই হবে। আর করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা এখন ঢাকার বাইরে কেবল চট্টগ্রামে চালু হয়েছে। খুলনাতে চালু হতে এখনও সপ্তাহখানেক সময় লাগবে।

তিনি বলেন, ওই শিশুর মরদেহ হস্তান্তরের সময় করোনা রোগী সৎকারের বিধিবদ্ধ নিয়মগুলো তার স্বজনদের বলে দেওয়া হয়েছে। যেমন- তারা যেন নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কমসংখ্যক মানুষ জানাজা এবং দাফনের সময় উপস্থিত থাকেন।

এতকিছুর পরও সোশ্যাল ট্রান্সমিশনের শঙ্কা থাকছে কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, আসলে টেস্ট ছাড়া সন্দেহ কাটানোর কোনও বিকল্প পথ নেই।

অবশ্য যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেছেন, এই রোগীর ক্ষেত্রে কোনও প্রকার শঙ্কা নেই। কেননা রোগীকে যে ডাক্তার দেখেছেন- তার তথ্য মতে, শিশুটি নিউমোনিয়ায় মারা গেছে। এরপরও আইইডিসিআরের সাথে তথ্য পর্যালোচনা করা হয়েছে। তারাও এই শিশুকে করোনা আক্রান্ত নয় বলে জানিয়েছে।