আক্রান্ত বা অসুস্থের সেবা ছাড়া মাস্ক নয়: ডব্লিউএইচও

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বা আক্রান্ত ব্যক্তিকে সেবা ছাড়া সবার মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

সোমবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচওর হেলথ ইমারজেন্সি প্রোগ্রামের নির্বাহী পরিচালক মাইক রায়ান এ তথ্য জানান। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানায়।

মাইক রায়ান বলেন, এমন কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই সাধারণ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করে উপকার পেয়েছেন। মূলত বিশ্বজুড়ে মাস্কের সঠিক ব্যবহারের পরিবর্তে অপব্যবহারই বেশি হচ্ছে।

মাস্ক ও অন্যান্য মেডিকেলে সরবরাহ নিয়ে তিনি বলেন, এসব ইস্যুতে সারা বিশ্বে চিকিৎসা সরঞ্জামসহ মাস্কের চরম সংকট দেখা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে আছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। কারণ তাঁরা প্রতিদিন, প্রতি সেকেন্ডে এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসছেন। অথচ ভয়াবহ ব্যাপার হলো, তাঁদের জন্যই পর্যাপ্ত মাস্ক নেই।’

সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচওর ইনফেকশাস ডিজিজ এপিডেমিওলজিস্ট মারিয়া ভন কেরখোভ বলেন, মূলত এই মুহূর্তে মাস্ক ব্যবহার করা বেশি প্রয়োজন, যেসব স্বাস্থ্যকর্মী প্রতিনিয়ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী সামাল দিচ্ছেন।

‘এই মুহূর্তে আমরা সাধারণ মানুষকে মাস্ক ব্যবহার করতে নিরুৎসাহিত করছি। যদি কেউ অসুস্থ হন বা অসুস্থ কোনো ব্যক্তির সেবা করার প্রয়োজন হয়, তাহলেই কেবল মাস্ক ব্যবহার করবেন’-বলেন, মারিয়া ভন কেরখোভ।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সংবাদ সম্মেলনে হুশিয়ারি দিয়ে জানায়, বিশ্বব্যাপী চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম বা পিপিই চরম সংকট দেখা দিয়েছে।

গত সপ্তাহে সংবাদ সম্মেলনে মারিয়া ভন কেরখোভ বলেছিলেন, আমাদের পরিস্কার করে বলতে হবে। বিশ্বে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পিপিইসহ মাস্ক, গ্লাভস, গাউন ও মুখমণ্ডল সুরক্ষার উপকরণের চরম সংকট। এসব জিনিস সরবরাহে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের গুরুত্ব দিতে হবে।

আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডো মিটারের তথ্য অনুযায়ী এ ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৮ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। আর এতে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ৩৯ হাজারের বেশি মানুষ।