টেলিভিশন সাংবাদিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত

coronavirus

ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের একজন সাংবাদিক নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এ ঘটনার পর ৪৭ জন কর্মীকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলেছে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।

টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী এম শামসুর রহমান শুক্রবার ফেইসবুকে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের একজন সহকর্মী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত।”

তিনি জানান, গত ২৬ মার্চ উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর ওই সাংবাদিক ‘সেলফ আইসোলেশনে’ চলে যান।দুদিন আগে তিনি আইইডিসিআরের হটলাইনে যোগাযোগ করেন।

“তার স্যাম্পল নিলে রেজাল্ট আসে, যেটা দুর্ভাগ্যজনকভাবে পজেটিভ ছিল।”

শাসমুর রহমান জানান, তারা বিষয়টি নিয়ে আইইডিসিআরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আক্রান্ত ওই সাংবাদিকের সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন এমন ৪৭ জন সহকর্মীর তালিকা করে তাদের সবাইকে ‘সেলফ আইসোলেশনে’ থাকতে বলেছেন।

“২৬ তারিখ থেকে হিসাব করে আর ৫ দিনের মধ্যে যদি আমাদের কোনো সহকর্মীর মধ্যে লক্ষণ দেখা না যায়, তার মানে আর কোনো সংক্রমণ হয়নি।”

যে হাসপাতালে ওই সাংবাদিককে রাখা হয়েছে, সেখানকার একজন চিকিৎসকও সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওই সাংবাদিক টেলিফোনে বলেছেন, তার শারীরিক কোনো জটিলতা নেই। মানসিকভাবেও তিনি শক্ত আছেন।

তিনি জানান, ২৬ মার্চ জ্বর আসার পর ১ এপ্রিল আইইডিসিআরে তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ফলাফল আসে বৃহস্পতিবার। কোভিড-১৯ পজেটিভ আসায় সেদিনই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

“আমার কোনো আত্মীয়স্বজন সম্প্রতি বিদেশ থেকে আসেননি। আক্রান্ত কারও সংস্পর্শেও আসিনি। তবে সংবাদ সংগ্রহের কাজে সম্প্রতি রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালে গিয়েছি। সেখান থেকেই সংক্রমিত হয়েছি কিনা বুঝতে পারছি না।”

ওই সাংবাদিক জানান, গত দুই মাস তিনি গ্রামের বাড়িতে যাননি। ঢাকায় একটি বাসায় একাই থাকেন। জ্বর আসার পর আর অফিসে যাননি।

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৬১ জন নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার খবর জানানো হয়েছে সরকারের তরফ থেকে, মারা গেছেন ৬ জন।

যারা সংক্রমিত হয়েছেন, তাদের বেশিরভাগেরই উপসর্গ ‘মৃদু’ বলে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ।