করোনা সম্পর্কে সঠিক তথ্যের প্রচার এবং ভুল তথ্য শেয়ার রোধ করতে উদ্যোগ নিয়েছে ফেসবুক। এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ।
বৃহস্পতিবার রাতে এক খোলা চিঠিতে জুকারবার্গ লেখেন, মানুষকে সচেতন করার জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রায় ২০০ কোটি ব্যবহারকারি করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য দিচ্ছেন ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে। একই ভাবে প্রায় ৩৫ কোটি ব্যবহারকরি করোনা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করছেন ফেসবুকে। তাই ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচার কমানোর জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি জানান, মার্চের শুরু থেকেই ফেসবুক খবরের সত্যতা যাচাই করার জন্য (ফ্যাক্ট-চেকিং) ১২টিরও বেশি নতুন দেশে কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ৬০০টিরও বেশি ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ৫০টিরও বেশি ভাষায় করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিভিন্ন পোস্ট দেখছে ফেসবুক। যদি কোন পোস্টে ভুয়া অথবা ভুল তথ্য থাকে তাহলে সেগুলো সরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
জুকারবার্গ জানান, ফেসবুক কোভিড – ১৯ সম্পর্কিত কয়েক হাজার এমন ভুল তথ্য ইতিমধ্যেই সরিয়ে দিয়েছে। যেমন, ব্লিচ পান করে ভাইরাস নিরাময়ের মতো তথ্য বা সামাজিক দূরত্ব এই রোগটি ছড়াতে অক্ষম ইত্যাদি। একবার কোনও পোস্ট ফ্যাক্ট-চেকারদের দ্বারা মিথ্যা বা ভুয়া হিসাবে চিহ্নিত হলে ফেসবুক সেগুলোকে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পারবে।
তিনি জানান, মার্চ মাসে ফেসবুকের নিয়োজিত ফ্যাক্ট-চেকাররা এই ধরণের প্রায় ৪,০০০-এর মত পোস্ট খুঁজে পেয়েছেন।
সম্প্রতি ফেসবুক করোনাভাইরাস সম্পর্কিত ভুল তথ্য প্রকাশের জন্য ফ্যাক্ট-চেকারদের লেখা নিবন্ধগুলোতে ‘গেট দ্য ফ্যাক্টস’ নামে একটি নতুন ফিচার চালু করেছে।
জুকারবার্গ জানান, ফেসবুক খুব শিগগিরই খবর হিসাবে আসা পোস্টগুলোও আলাদা করে দেখাতে শুরু করবে। যাঁরা এর আগে কোভিড – ১৯ সম্পর্কিত ভুল তথ্যের সঙ্গে কোনও ভাবে জড়িত ছিলেন, তাঁদের কাছেও সঠিক তথ্যগুলো পাঠানো হবে।
