সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন নরসিংদীর প্রথম করোনা রোগী

coronavirus

নরসিংদীর পলাশের ডাঙ্গা ইউনিয়নের ইসলামপাড়া গ্রামের প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী মুফতি শামীম মিয়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। দীর্ঘ ১০ দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। শুক্রবার দুপুরে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক টিম তাকে করোনাভাইরাস মুক্ত ঘোষণা দিয়ে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার ছাড়পত্র দেন।

মুফতি শামীম মিয়া নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করার পাশাপাশি ওই গার্মেন্টসের মসজিদে ইমামতি করতেন। গত ৫ এপ্রিল করোনা উপসর্গ দেখা দিলে শামীম নিজেই ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা দিয়ে আসেন। পরে ৬ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে তার রিপোর্ট পজেটিভ আসার পর ওইদিন রাতেই পলাশ উপজেলা প্রশাসন ডাঙ্গা ইউনিয়নের ইসলামপাড়া এলাকার সব দোকান বন্ধ করে ইসলামপাড়া এলাকা লকডাউন করে দেয়। পর দিন দুপুরে করোনা আক্রান্ত শামীম মিয়াকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে রেখে তার চিকিৎসা করানো হয়। তাছাড়া শামীম মিয়ার পরিবারের ৯সদস্যকেও উপজেলা কোরয়ারেন্টিন সেন্টারে রেখে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে আইইসিডিআরে পাঠানো হলে তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নাজমুল হক জানান, পলাশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শামীম মিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি পরপর দুইবার নমুনা সংগ্রহ করে আইইসিডিআরে পাঠানো হলে তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তাই, শামীমকে করোনা মুক্ত ঘোষণা করে বাড়ি যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জিনারদী ইউনিয়নের গাবতলি গ্রামে করোনা আক্রান্ত দুই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থাও ভালো। ওই দুই জনকে বাড়িতে রেখেই আইসোলেশনের ব্যবস্থা করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দা.) ফারহানা আলী জানান, করোনাকে পরাজিত করে সুস্থ হয়ে যাওয়া শামীম মিয়ার বাড়ির লকডাউন (তালা) খুলে দেওয়া হবে। তবে অহেতুক যাতে কেউ বাইরে না বের হয়, সে বিষয়ে কড়া নজরদারীতে রাখা হয়েছে।