শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি (পর্ব-১)

khairul bashar

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ,
ছালাম ও শুভেচ্ছা নিও। আশাকরি সৃষ্টিকর্তা তোমাদের সকলকেই ভালো রেখেছেন। তোমরা আমাদের সন্তানতুল্য। সৃষ্টিকর্তা তোমাদের সর্বদা ভালো রাখুক শিক্ষক হিসেবে সেটাই আমাদের কামনা। ইতোমধ্যে তোমরা জেনে গেছো, বৈশ্বিক করোনা মহামারিতে দেশে দেশে প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৩৪ লক্ষ মানুষ। করোনা ভাইরাসের তা-বে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিও আজ সংকটাপন্ন। দেশে ২ মে ২০২০ খ্রি. পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭৯০ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৭৭ জন, মারা গেছেন ১৭৫ জন। এই লেখা পড়ার সময়, এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলা যায়। আইইডিসিআরের তথ্য অনুযায়ী আমাদের দেশে ৩০ বছরের নিচে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের হার ৩৭%। অথচ ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত কানাডায় ৩০ বছরের নিচে আক্রান্তের হার ১৬.৮৬%। তথ্যানুযায়ী দেখা যাচ্ছে, কানাডার চেয়ে শিক্ষার্থীদের মত বয়স পরিধির মধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের হার বাংলাদেশে বেশি। উদ্বিগ্নতা, ভয় এখানেই।

এমতাবস্থায় মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় মিলে আমাদের দেশের প্রায় পৌনে পাঁচ কোটি শিক্ষার্থীদের নিয়ে তোমাদের পরিবারের মত, গোটা শিক্ষক সমাজ, গোটা জাতি আজ উৎকণ্ঠিত।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আমাদের দেশে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত সকল ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে তিনি এও বলেছেন, যখন করোনার প্রকোপ থাকবে না, তখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। যদিও ইতোমধ্যে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে করোনা ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলকভাবে মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে। প্রয়োগ সফল হলে তো রক্ষা, নতুবা অপেক্ষার প্রহর গুনতে হবে বিশ্ববাসীকে। যুক্তরাষ্ট্রের হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বলেছেন, করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক বা চিকিৎসাপদ্ধতি উদ্ভাবনের আগ পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, প্রতিষেধক বা চিকিৎসাপদ্ধতি উদ্ভাবনে দেরি হলে করোনা মহামারির স্থায়িত্বকাল আরও দীর্ঘায়িত হবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মেয়াদও ততটা বাড়বে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আর কতদিন বন্ধ থাকবে তাও আমরা বলতে পারি না। অনাকাঙ্ক্ষিত ছুটিতে তোমাদেও কারও কারও সাথে মোবাইল বা ম্যাসেঞ্জারে কথা হলেও সরাসরি দেখা না হওয়ায় আমাদের মন ভারাক্রান্ত।

এই দীর্ঘ ঘরবন্দি জীবন কারও ভালো লাগার কথা নয়। কিন্তু রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলমগীর বলেন, দেশে এখন করোনাভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ চলছে। তবে সেটি মৃদু পর্যায়ে। মে মাসের মাঝামাঝিতে দেশে করোনাভাইরাসের একটি পিক (চূড়া) দেখা দিতে পারে। যে কোনো ভাবে সেটি ছাড়াতে পারে তাই সাবধান থাকতে হবে।

ইতোমধ্যে আমরা জেনে গেছি, করোনা একটি সংক্রামক ভাইরাস যা একজন আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোন ঔষধ আবিষ্কৃত হয়নি। ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায় রাখাই করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার প্রধান হাতিয়ার বলেছেন বিশেষজ্ঞগণ। সুতরাং সংক্রমণ রোধে এই সময়ে কোনভাবেই শিক্ষার্থীদের বাসা/বাড়ির বাইরে যাওয়া উচিত হবে না। বাসা/বাড়িতেই সাবধানে থাকতে হবে। বারবার সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গারগিল করতে হবে, কুসুম গরম পানি পান করতে হবে। তিন-চারবার চা ও কফি পান করা যেতে পারে। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার (এএমসি) করোনা প্রতিরোধে সহয়তা করতে আদা ও লবঙ্গ মিশ্রিত গরম পানি, কালোজিরা, মধু, ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফলমূল খেতে পরামর্শ দিয়েছে।

যেসব খাবার খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হবে সেগুলো খাওয়ার ব্যাপারে সচেষ্ট হতে হবে। ভারতের সিনিয়র কনসালট্যান্ট নিউট্রিশনিস্ট নীনা সিংহ করোনা ভাইরাসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ডাল, লাউ, পেঁপে, বাদাম, আমলকী, ঢ্যাঁড়শ, পটল, কুমড়ো, গাজর, বাঁধাকপি, কলমি শাক, ক্যাপসিকাম, বরবটি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, লেবু, আপেল, শসা, দই খেতে বলেছেন। তবে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমন ভাত, রুটি, মুড়ি, চিঁড়ে, সুজি কম পরিমাণে খাওয়র পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি প্রতিদিন নিয়ম করে এক্সারসাইজ করারও পরামর্শ দিযেছেন। তবে মাছ, মাংস, দুধ, ডিমসহ অন্যান্য খাদ্য ভালো করে সেদ্ধ করে খেতে হবে।

তবে রোজায় খাদ্য গ্রহণের ব্যাপারে বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেছেন পুষ্টিবিদরা। বিআইএইচএস জেনারেল হাসপাতালের নিউট্রিশনিস্ট নাজমুন্নাহার বেগম পলি কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। কোভিড-১৯ প্রতিরোধের জন্য খাবার তালিকায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট (ভিটামিন এ, সি, ই) ও জিংকসমৃদ্ধ খাবার বেশি রাখতে হবে। ভিটামিন-সি ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এ ধরনের খাবার হিসেবে আমলকী, লেবু, জাম্বুরা, পেয়ারা, টমেটো, কমলা, কাঁচামরিচ ইত্যাদি রাখা যায়। এছাড়া মৌসুমি ফল তরমুজ, পেঁপে, আনারস, স্ট্রবেরি, জলপাই এগুলোও তালিকায় রাখতে হবে। বিটা ক্যারোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন গাজর, মিষ্টিআলু, বিট এবং জিংক ও প্রোটিনসমৃদ্ধ মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, বাদাম, ডাল, গমজাতীয় খাবার, লাল চাল ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।
ইফতার বা সেহরিতে অল্প পরিমাণ টকদই খাওয়া যেতে পারে।। ইফতারে চিঁড়া, টকদই, কলা কচি ডাবের পানি, লেবুর শরবত, বেলের শরবত, ইসুবগুলের ভুসি, কাঁচা আমের শরবত, সিদ্ধ ছোলা, আদা, পুঁদিনাপাতা, ধনেপাতা, লেবু, শসা, টমেটো দিয়ে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। ইফতারে চাল, ডাল মিশ্রিত পাতলা খিচুড়ি বা হালিমও খাওয়া যেতে পারে। উল্লেখ্য, শরবত অতিরিক্ত চিনিযুক্ত হবে না।

সেহরিতে ভাত, সবজি, মাছ, মাংস, ডিম ও দুধ খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া ২-৩টি খেজুর সারাদিনে আপনাকে শক্তি জোগাতে সাহায্য করবে। তবে কোন কোন পুষ্টিবিদ সেহেরীতে মাংস খাওয়া উচিৎ নয় বলেছেন।
ভুরি ভোজ একেবারেই অনুচিৎ। সব ধরনের অতিরিক্ত তেলেভাজা খাবার পরিহার করতে হবে। না হলে অ্যাসিডিটি হয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াতে পারে। প্রক্রিয়াজাত খাবার, কোমল পানীয়, কৃত্রিম জুস, আইসক্রিম, চর্বিযুক্ত খাবার, অ্যালকোহল, জর্দা, সিগারেট পরিহার করতে হবে।

নিজে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরতে হবে। বাসার আসবাবপত্র ও ব্যবহার্য জিনিসপত্র অ্যান্টিসেফটিক লিকুইড দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। যে ব্রাশ দিয়ে কাপড় কিংবা ঘর পরিষ্কার করা হয় সেই ব্রাশটিও প্রতিদিন ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। সংক্রমণ এড়াতে ছোট-ভাইবোনদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেকোন প্রকার মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। পরিবার-পরিজন, প্রতিবেশী, সহপাঠি, বন্ধু-বান্ধবদের মাদক থেকে দূরে থাকতে বলতে হবে। কেননা স্যান ফ্র্যানসিসকোর ইউভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ারর গবেষকরা জানিয়েছেন, অধূমপায়ীদের তুলনায় করোনা ভাইরাসে ধূমপায়ীদের আক্রান্ত হওয়ার ও মৃত্যুঝুঁকি ১৪ গুণ বেশি। যদি জ্বর, হাঁচি-কাশি বা শ্বাসকষ্ট হয় তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আশেপাশের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে ঠাট্টা-ইয়ার্কি বা তার সঙ্গে কখনোই খারাপ ব্যবহার করা উচিত হবে না। এক কথায় নিজেদের স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে। পরিবার-পরিজন, প্রতিবেশী, সহপাঠি, বন্ধু-বান্ধবদের সচেতন করতে হবে। পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। এই দুঃসময়ে শিক্ষার্থীদের একটি বড় কাজ হল বেশি বেশি করে কৃষিকাজে সাহায্য করা কেননা, ফসল কর্তণ ও সংরক্ষণ এবং কৃষি উৎপাদন অব্যাহত না রাখতে পারলে করোনাকালে অথবা করোনা পরকর্তীকালে দুর্ভিক্ষের মত আরও ভয়াবহ বিপদ দেখা দিতে পারে। তবে কৃষিকাজে অংশগ্রহণ করতেও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। অবশ্যই মাস্ক পরে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যেতে হবে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজারের জন্য সপ্তাহে একদিন পরিবারের একজনকেই বাজারে যেতে হবে। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জিনিস ক্রয় করে কৃত্রিম সংকট তৈরি ও মূল্য বৃদ্ধিতে সহায়তা না করতে পরিবার-পরিজন, প্রতিবেশী, সহপাঠি, বন্ধু-বান্ধবদের সচেতন করতে হবে। আশপাশের কোনো বাসাবাড়িতে বিদেশ থেকে বা সংক্রামিত এলাকা থেকে কেউ এসে থাকলে, উপজেলা বা জেলার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বা ৯৯৯ নম্বরে জানাতে হবে। তবে সচেতন করতে, তথ্য জানাতে, এক্সারসাইজ করতে, কোনভাবেই বাসা/বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না। শহরে রুমের মধ্যেই এক্সারসাইজ করতে হবে। গ্রাাম হলে উঠোনে এক্সারসাইজ করা যেতে পারে। অন্যদের সচেতন করার ক্ষেত্রে ঘরে বসেই মোবাইলে বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে সচেতন করতে হবে।

বর্তমানে আবার উপসর্গ ছাড়াই করোনা পজিটিভ হচ্ছে। তাই পাশের লোকটি আক্রান্ত কিনা বোঝার উপায় থাকবে না। অন্যদিকে সুস্থ হওয়ার পরও করোনা পজিটিভ হবার খবর পাওয়া গেছে। চিনের চিকিৎসকেরা বলছেন, অনেক রোগীর ক্ষেত্রেই সেরে ওঠার পরপর করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছিল। কিন্তু তার ৭০ দিন পর আবার পরীক্ষা করে ফলাফল পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে। অনেকের ৫০-৬০ দিন পর পরীক্ষা করেই ফলাফল পজিটিভ আসছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় সুস্থ হওয়ার পর ১৪১ জনের আবার করোনা শনাক্ত হয়েছে। আমেরিকায় ভেন্টিলেটার আছে এক লক্ষ সত্তর হাজার। ২৯ মার্চ করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, আমাদের হাতে এখন পাঁচশর মতো ভেন্টিলেটর রয়েছে। আরও সাড়ে তিনশ ভেন্টিলেটর আসছে। সুতরাং একবাবে বেশি সংখ্যক লোক করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়লে চরম চিকিৎসা সংকটে পড়তে হবে আমাদের। সুতরাং শুধু সরকারের উপর নির্ভর না করে যার যার অবস্থনে থেকে সাবধানতা অবলম্বন করে করোনা ভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধ করতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়াসেস বলেছেন, করোনার সর্বোচ্চ রূপ দেখেনি বিশ্ব। সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি এখনও আমাদের সামনে অপেক্ষা করছে। সুতরাং করোনা থেকে শিক্ষার্থীদের নিজেকে রক্ষা করতে, পরিবার-পরিজন, প্রতিবেশী, সহপাঠি, বন্ধু-বান্ধব, সমাজ, দেশ-জাতিকে রক্ষা করতে, প্রতিক্ষণ-প্রতিদিন সর্বোচ্চ সচেতনতা, সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে উদ্ভূত যেকোন সমস্যায় নিঃসংকোচে আমাদেরকে মোবাইল কোরো। পরিশেষে দুশ্চিন্তামুক্ত থেকে আমরা সকলে যদি দৃঢ় মনোবল দিয়ে সচেতন থাকি, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, করোনা ভাইরাস আমাদের পরস্পরকে যতই দূরে ঠেলে দিক না কেন, মহান আল্লাহর রহমতে দ্রুত এই বিপদ থেকে আমরা মুক্তি পাব ইনশাআল্লাহ। (চলবে)

এস এম খায়রুল বাসার
সাংবাদিক, কলাম লেখক ও
অধ্যক্ষ, পল্লীমঙ্গল আদর্শ মহাবিদ্যালয়
ইছামতি, অভয়নগর, যশোর।
[email protected]
০১৭১১-৪৫০১৯৩