যশোরে আলোচিত কাজী ছাত্রাবাস থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের মামলার চার্জশিট

যশোরের শেখহাটির কাজী ছাত্রাবাস থেকে বিপুল পরিমান অস্ত্র, বোমা ও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় ৯ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। কোতয়ালি থানার এসআই আনছারুল হক মামলার তদন্ত শেষে আদালতের সংশ্লিষ্ট দফতরে সম্প্রতি ওই চার্জশিট জমা দিয়েছেন।

অভিযুক্তরা হলো, শেখহাটির কাজী আলমগীর হোসেন আলম ও তার ছেলে কাজী জুয়েল, শেখহাটি কালীতলা এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে রানা, জামরুলতলার হোসেন আলীর ছেলে আরিফুল ইসলাম আরিফ, শেখহাটির মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে রায়হান, কাজী ছাত্রাবাসের ভাড়াটিয়া সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুড়াখারটি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে আবু হেনা রোকন, যশোরের ঝিকরঘাছা গ্রামের রঘুরনাথপুর গ্রামের কাশেম সিকদারের ছেলে ইমরান সিকাদার, মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাগ গ্রামের উসমান বিশ্বাসের ছেলে রাফিউন ইসলাম এবং একই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে তৌফিক ইসলাম।

মামলার অভিযোগে জানাগেছে, পুলিশ গোপন সূত্রে সংবাদ পায়-শেখহাটি জামরুলতলার কাজী ছাত্রাবাসে ওই এলাকার চিহ্নিত জুয়েল ও তার সহযোগীরা বিপুল পরিমানে অস্ত্র মজুদ করে রেখেছে। এ খবর পেয়ে কোতয়ালি থানা পুলিশ চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১টা থেকে আড়ইটা পর্যন্ত সেখানে অভিযান চালায়। টিনের ছাউনির ওই ছাত্রাবাসের ১০টি রুমে তল্লাশি চালিয়ে একটি শর্টগান, একটি ওয়ান স্যুটারগান, একটি ম্যাগজিন, বন্দুকের ৫ রাউন্ড গুলি, বার্মিজ চাকু ৩টি, রামদা ২টি, দেড়শ’ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, এক কেজি গাঁজা, রড ও লোহার পাইপ ৫টি, ককটেল ৫টি, মোটরসাইকেল ২টি, বিদেশি মদ ৫ বোতল, বোমা তেরির বিভিন্ন সরঞ্জাম ও ব্যবহৃত অব্যবৃহত বেশ কিছু কনডম উদ্ধার করা হয়।

এ সময়ে ছাত্রাবাস থেকে যশোরে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেক্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌফিক এলাহী, চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আবু হেনা রোকন ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাফিউনকে আটক করা হয়েছিল।

পরদিন দুপুরে পুলিশ ফের কাজী ছাত্রাবাসে তল্লাশি চালায়। এ সময় ওই ছাত্রাবাস থেকে পিস্তলের একটি ম্যাগজিন, পিস্তলের ৩ রাউন্ড গুলি, একটি বার্মিজ চাকু এবং একটি রামদা উদ্ধার করেন।

এই ঘটনায় উপশহর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই এইচএমএ লফিত বাদি হয়ে মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা করেন। এই মামলা তদন্তকালে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই ৯জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জর্শিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

চার্জশিটে কাজী আলম, কাজী জুয়েল, রায়হান, রানা ও ইমরানকে পলাতক দেখানো হয়েছে।