করোনা ভাইরাস নিয়ে নির্মিত হচ্ছে সিনেমা

করোনা ভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্বই যেনো স্থবির হয়ে আছে। ছোট্ট এই অণুজীব মানুষকে ঘরবন্দি থাকতে বাধ্য করছে। বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থ ধসে পড়ছে। অসহায় হয়ে পড়ছে কোটি কোটি মানুষ। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিরবিদায় নিচ্ছে অনেকেই। মোটকথা পৃথিবীর নতুন আতঙ্কের নামই হচ্ছে করোনা ভাইরাস।

এই করোনা ভাইরাস নিয়েই বাংলাদেশে নির্মিত হচ্ছে সিনেমা। নির্মাণ করছেন সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড। ছবির নাম ‘কোভিড-১৯ ইন বাংলাদেশ’। তবে এটি প্রাথমিক নাম। পরবর্তীতে এ নাম পরিবর্তন হতে পারে বলে জানালেন নির্মাতা।

গত ২৭ মে শুরু রাজধানী ঢাকায় শুরু হয়েছে শুটিং। ২৮ এবং ২৯ তারিখেও শুটিং হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে।

ছবিটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন বাপ্পি চৌধুরী। তার সঙ্গে আছেন অধরা খান। দু’জনেই শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন । করোনায় ছবিটির শুটিং প্রসঙ্গে পরিচালক অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড বলেন, ‘তিনদিন হয় ছবিটির শুটিং শুরু করেছি। করোনা ভাইরাস নিয়েই ছবিটির গল্প। ভাবলাম এখনই ছবিটির শুটিং শুরুর উত্তম সময়। গল্পের কারণে যে সব স্থানে শুটিং করা বেশি প্রয়োজন সে সব স্থানেই শুটিং ধারণ করেছি। এই যেমন বাসস্টপ,রেল স্টেশন। সবই ফাকা ছিলো। শুটিং করতেও কোন ঝামেলা হয়নি। আমরা সাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনেই শুটিং করছি।’

করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় দুইমাস বাসায় গৃহবন্ধি জীবন যাপন করছিলেন বাপ্পি চৌধুরী। শুটিংয়ে অংশ নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘ ছবিটির গল্প করোনা ভাইরাস নিয়ে। সুন্দর একটি টাচি গল্প। তাই এই সময়ে কিছুটা ঝুকি নিয়ে হলেও শুটিংয়ে রাজি হয়েছি। সবাই যথাযথ সচেতন হয়েই শুটিং করছি।’

বাপ্পি চৌধুরী আরও বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের প্রতিশেধক এখনও আবিস্কার হয়নি। কবে হবে তাও বলা যাচ্ছেনা। তাই করোনা নিয়েই আমাদের সচেতন হয়ে চলতে হবে। ইতোমধ্যে সব অফিস-আদালত খুলতে শুরু করেছে। অন্যরাও শুটিংয়ে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আপাতত এভাবেই চলতে হবে আমাদের।’

অধরা খান জানালেন ছবিটির গল্প খুবই ইমোশনাল। এ বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে। এমন একটি গল্পে কাজ করতে পারা ভাগ্যের। তিনিও সকল প্রকারি নিয়মনীতি মেনেই শুটিং করা হচ্ছে বলে জানালেন।

‘কোভিড-১৯ ইন বাংলাদেশ’ ছবিটি প্রযোজনা করছেন । ছবিটি কবে মুক্তি পাবে সেটা নির্দিষ্ট করে বলতে না পারলেও করোনার পর স্বাভাবিক অবস্থায় মুক্তির কথা জানালেন পরিচালক।