যশোরে রুবেল হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৯ জনের নামে মামলা

jessore map

তরমুজ দেওয়ার কথা বলে ৩২ হাজার টাকা নিয়ে তরমুজ না দিয়ে উল্টো ডেকে সম্রাট হোসেন রুবেল নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা ও দু’জনকে আহত করার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

ঘটনাটি যশোর সদর উজেলার ইছালী ইউনিয়নের যোগীপাড়া গ্রামে। আসামীরা হচ্ছে, ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার রেললাইনের পাশে বর্তমানে যশোর সদর উপজেলার যোগীপাড়া গ্রামের বাবুল আক্তারের ছেলে আকবার আলী, পাশ্ববর্তী কিসমত রাজাপুর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে গিয়াস উদ্দিন, মনোহরপুর গ্রামের হোটেল মালিক আব্দুস সামাদ ছেলে পারভেজ, আগ্রাইল গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে আক্তার হোসেন, ঝিনাইদহ জেলা কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার রেললাইনের পার্শ্বে বর্তমানে যশোর সদর উপজেলার যোগীপাড়া গ্রামের মৃত আকবার আলীর মেয়ে মোছাঃ তন্নি বেগম, যোগীপাড়ার মৃত দিদার বিশ্বাসের ছেলে রফিকুল ইসলাম ওরফে নফু, রফিকুল ইসলাম নফুর ছেলে এনাম, দিদার বিশ্বাসের ছেলে পাঞ্জু বিশ্বাস, মনোহর পুর গ্রামের খলিলের ছেলে তৌহিদ।

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃত নেয়ামত আলীর মোল্যার ছেলে আব্দুল মান্নান মোল্যা বাদি হয়ে মঙ্গলবার (২ জুন) কোতয়ালি থানায় আসামীদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

তিনি মামলায় উল্লেখ করেছেন, তার ভাগ্নে বাঘার পাড়া উপজেলার খানপুর গ্রামের মালেক মোল্যার ছেলে শিপন কাঁচা মালের ব্যবসা করে। আকবার আলীর সাথে ভাগ্নে শিপনের পরিচয়ের সূত্র ধরে আকবার আলী শিপনকে তরমুজ দেওয়ার কথা বলে গত ১০ মে তরমুজ বাবদ অগ্রীম ৩২ হাজার টাকা গ্রহন করে। ৭ দিনের মধ্যে তরমুজ দেওয়ার কথা থাকলেও আকবার আলী তরমুজ দিতে না পারায় শিপন টাকা ফেরত চাই। এ নিয়ে শিপনের সাথে আকবার আলী বচসা হয়। গত ৩০ মে আকবার আলী মোবাইল ফোনে তার বাড়িতে শিপনকে ডাকলে শিপন মোল্যা তার মামা আব্দুল মান্নান মোল্যার ছেলে সম্রাট হোসেন রুবেল (২০) ও বাঘারপাড়া উপজেলার খানপুর গ্রামের ওহাব শিকদারের ছেলে বিল্লাল হোসেন বিকেলে মোটরসাইকেল যোগে আকবার আলীর বাড়িতে যায়। সেখানে যাওয়ার পর সম্রাট হোসেন রুবেলকে আকবার আলীর বাড়ির দক্ষিণ পাশে নিয়ে পাঞ্জু বিশ্বাসের নির্দেশে গিয়াস উদ্দিন ও পারভেজ, সম্রাট হোসেন রুবেলের দু’হাত ধরে রাখে। আকবার আলী রুবেলকে ছুরিকাঘাত করে। রুবেলের চিৎকারে শিপন ও বিল্লাল হোসেন এগিয়ে গেলে তাদেরকেও মারপিট করা হয়। গুরুতর অবস্থায় সম্রাট হোসেন রুবেলকে ২৫০ শয্যার যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রুবেলের অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন গভীর রাতে রুবেল মারা যায়।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার সকালে মামলা হওয়ার পর ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।