লাদাখ উত্তেজনা উদ্বেগজনক : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

ইন্দো-চীন সীমান্ত সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তার মতে, “পূর্ব লাদাখের উত্তেজনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আর উদ্বেগজনক। আশা করবো আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানসূত্র মিলবে। গত প্রায় একমাস ধরা চলা এই সীমান্ত উত্তেজনা প্রশ্নে এই প্রথম সরকারি বিবৃতি দিল ব্রিটেন। ইন্দো-চিন সীমান্ত সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

বরিস জনসনের বলেন, “পূর্ব লাদাখের উত্তেজনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আর উদ্বেগজনক। আশা করবো আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানসূত্র মিলবে। আমরা ঘটনা পরম্পরায় নজর রাখছি।”

গত প্রায় একমাস ধরে চলা এই সীমান্ত উত্তেজনা প্রশ্নে এই প্রথম সরকারি বিবৃতি দিল ব্রিটেন।
কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদ ফ্লিক ড্রুমন্ডের এক প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

ভারত ও চীনের নাম না করে ফ্লিকের প্রশ্ন, “কমনওয়েলথ দেশের সদস্য ও বিশ্বের বৃহৎ গণতন্ত্রের মধ্যে হওয়া সংঘাতে ব্রিটেনের ভূমিকা কী?”

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, “আমরা উৎসাহ দেব আলোচনার টেবিলে বসে দুই দেশ সমস্যা সমাধানের দিশা বের করুক।”

এদিকে, অব্যাহত চীনের প্রহসন। দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা উপেক্ষা করেই উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল চীনা নির্মাণের ছবি। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা কমাতে ভারত ও চীনের আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার একদিন পরেই, উন্নতমানের উপগ্রহ চিত্রে গালোয়ান নদী উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দুই দিকেই চীনা নির্মাণের ছবি ধরা পড়ল। গত ১৫ জুন ওই এলাকায় সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা সদস্য প্রাণ হারান। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, চীনের ৪৫ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে, তালিকায় একজন কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তা।

পেট্রোল পয়েন্ট ১৪ নম্বর সংলগ্ন এলাকার ছবি ধরা পড়েছে, সেখানেই ১৫ জুন সংঘর্ষ হয়। এর আগে ১৬ জুনের উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, এই এলাকায় ধ্বংসস্তুপ রয়েছে। নতুন চিত্রে দেখা যাচ্ছে, ওই জায়গায় সম্ভবত প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে চীনের পক্ষে। নতুন চিত্রে আরও দেখা গেছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৬ জুন সেটি ছিল না।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রমেশ ফাড়ি বলেন, “১৪ নম্বর পেট্রোল পয়েন্টে অনুপ্রবেশের পরিষ্কতার লক্ষণ রয়েছে”। তার কথায়, “ছবিতে ভারি যানবাহন চলাচলের চিত্র স্পষ্ট, যার মাধ্যমে ওই এলাকায় বাহিনী মোতায়েনের উদ্দেশের ইঙ্গিত মেলে”।