যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই জনের মৃৃৃৃত্যু

jessore hospital

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই জনের মৃৃৃৃত্যু হয়েছে৷ এছাড়াও সোমবার যশোর জেলার ২২৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬৭টি নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে৷

করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃৃৃৃত্যু হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকার গাজীপুর গ্রামের মৃৃৃৃত আক্কাস আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম(৮৫) এবং মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার খলিলুর রহমানের ছেলে রেজাউল আলোম(৬৫)৷

হাসপাতালের আর এম ও ডা.আরিফ আহম্মেদ জানান, শহিদুল ইসলাম ও রেজাউল আলম করোনা উপসর্গ নিয়ে আজ ২০ জুলাই রাত ৩টার দিকে শহিদুল ভর্তি হয়। চিকিৎসাধিন অবস্থায় ভোর ৬টার দিকে তিনি মারাযান ও রেজাউল আলম আজ ২০জুলাই রাত ১টার দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয় এবং সকাল ১১টার দিকে হাসপাতালের আইসোলেশানে মারাযান৷ তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে৷ স্থাস্থ্য বিধি মেনে দাফনের জন্য পরিবারের লোকদেরকে বলা হয়েছে৷

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টার থেকে আজ সোমবার প্রকাশিত ফলাফলে ৮৫টি নমুনাকে পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। নমুনাগুলো যশোর ও মাগুরা জেলার।

যবিপ্রবি এনএফটি বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষণ দলের সদস্য ড. শিরিন নিগার জানান, রোববার তাদের ল্যাবে মোট ২৭০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৮৫টি পজেটিভ ও ১৮৫টি নেগেটিভ ফল দিয়েছে।
পরীক্ষিত নমুনাগুলোর মধ্যে যশোর জেলার ছিল ২২৩টি। এর মধ্যে ৬৭টি নমুনা পজেটিভ ফল দেয়। আর মাগুরার ৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৮টির ফল পজেটিভ হয়। পরীক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সংশ্লিষ্ট দুই জেলার সিভিল সার্জনদের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এর আগের দিন রোববার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেব মতে যশোর জেলায় মোট শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল এক হাজার ৩২৭। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১৯ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৬৯ জন।