ইউটিউবের বিরুদ্ধে অ্যাপলের মামলা

ভার্চুয়াল কারেন্সি বিট কয়েন জালিয়াতিতে ইউটিউবের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ ওজনিয়াক।

ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করে ইউটিউবে একশ্রেণির লোক প্রতারণা করছে, এমন অভিযোগে ইউটিউবের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি। খবর বিবিসির।

সম্প্রতি টুইটার হ্যাকের ঘটনার সাথে ইউটিউবে বিট কয়েন জালিয়াতি সম্পর্ক উল্লেখ করে স্টিভ বলেন, ইউটিউবে আমার নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করা আর টুইটার হ্যাক করে বিট কয়েন দ্বিগুণ ফেরত দিতে চাওয়া অভিন্ন কোনো জালিয়াতি নয়।

এদিকে ইউটিউবের মূল প্রতিষ্ঠান গুগল জানিয়েছে, তার (স্টিভ ওজনিয়াক) ছবি ভিডিওর অপব্যবহার ও জালিয়াতির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে। ইউটিউব অনেকটা গুগলের মতোই সব ক্ষেত্রে অ্যালগারিদমের ওপর নির্ভরশীল। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে তাদের কোনো স্পেশাল সফটওয়্যার বা প্রযুক্তি নেই।

স্টিভ ওজনিয়াক জানান, ইউটিউব জালিয়াতির বিষয়টি সামাল দিতে না পারায় তাকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। জালিয়াতি বন্ধে ইউটিউব যথাসময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে বর্তমানে আমাদের এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হতো না।

অভিযোগে তিনি বলেন, ক্রিপ্টো কারেন্সির এই ‘বিশাল’ কেলেঙ্কারি বা জালিয়াতি এখনো ইউটিউবে অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে ১ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের ক্রিপ্টো কারেন্সি চুরি হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, এই ক্রিপ্টো কারেন্সি জালিয়াতির ঘটনা ফ্লুয়ের মতো বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। গত মাসে এই চক্র এলন মাস্কের ‘স্পেস এক্স’ নামের ইউটিউব চ্যানেলের একটি অনুরূপ চ্যানেল তৈরি করে ভিডিও লাইভ স্ট্রিমে দর্শকদের কাছ থেকে প্রায় দেড় লাখ মার্কিন ডলার সমমূল্যের ক্রিপ্টো কারেন্সি হাতিয়ে নিয়েছে।

ক্রিপ্টো কারেন্সি মনিটরিং সার্ভিস হোয়েল অ্যালার্টের একটি প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, গত ছয় মাসে প্রতারক চক্রগুলো প্রায় আড়াই কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের বিট কয়েন হাতিয়ে নিয়েছে।

স্টিভের আইন বিষয়ক প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট জো কশেট্ট টুইটার হ্যাক এবং ইউটিউবে প্রতারণার সুতা মেলান একসাথে।

কশেট্ট বলেন, টুইটারে ১৩০ জন খ্যাতনামা ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার ঘটনা ফাঁস হওয়ার এক দিনের মধ্যে এই প্রতারণামূলক কার্যক্রম বন্ধে সক্ষম হয়েছিল টুইটার। তবে টুইটারের সম্পূর্ণ উল্টো চেহারা দেখিয়েছে ইউটিউব। লাভের আশায় ইউটিউব জেনে বুঝেও অ্যাডভাটাইজ টার্গেট পূরণের জন্য কয়েক মাস ধরে ভুয়া চ্যানেলের কনটেন্ট প্রোমোট করেছে।

এদিকে ক্রিপ্টো কারেন্সি কোম্পানি রিপেল ল্যাবের এক মামলায় ইউটিউবের লিগ্যাল টার্মের তথ্যে উঠে আসে, থার্ড পার্টির কোনো কনটেন্ট দ্বারা কেউ প্রতারণার শিকার হলে ইউটিউব সেই কনটেন্টে বা প্রতারণার জন্য দায়বদ্ধ নয়।