যশোর জেনারেল হাসপাতালে সকল লেনদেন ক্যাশকাউন্টারে করার নির্দেশ

যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ক্যাশ কাউন্টার ছাড়া নগদ টাকা নেয়া যাবে না। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শনিবার এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ জারি করেছেন। বিভিন্ন পত্রিকায় ক্যাশ কাউন্টার থাকার পরও বিভিন্ন পরীক্ষায় নগদ টাকা নেয়া হচ্ছে সংবাদ প্রকাশিত হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ সিদ্ধান্ত নেয়ায় হাসপাতালের রোগী ও রোগীর স্বজনরা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে, ওই সংবাদ প্রকাশিত হলে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে হাসপাতালের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারিরা৷

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে ৪ জুলাই হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি স্থানীয় সরকার ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য সেন্ট্রাল ক্যাশকাউন্টার উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি সকলকে হাসপাতালের সকল লেনদেন ক্যাশকাউন্টারে করার নির্দেশ দেন। এরপর ৬ জুলাই আনুষ্ঠানিক ভাবে সেন্ট্রাল ক্যাশকাউন্টার চালু করা হয়। এসময় হাসপাতালে সকল লেনদেন সেন্ট্রাল ক্যাশকাউন্টারে জমা নেয়া হয়। এর কিছু দিন যাওয়ার পর হাসপাতালের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা নগদে টাকা নিয়ে প্যাথলজি, আলট্রাসোনা, ইসিজি, এক্সরেসহ বিভিন্ন পরীক্ষা শুরু করে। এসময় টাকা জমা নিলেও কোন রশিদ দেয়া হয় না। অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা ওই নগদ টাকা নিয়ে নয় ছয় করছে বলে অভিযোগ ওঠে।

এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ ২৩ জুলাই দৈনিক কল্যাণসহ বিভিন্ন দৈনিক প্রকাশিত হয়। সংবাদটি প্রকাশ করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলিপ কুমার রায় শনিবার হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীদের একটি নোটিশ দেন। তাতে উল্লেখ করা হয়, ক্যাশ কাউন্টার অথবা ক্যাশ মেমো দিয়ে লেনদেন করতে হবে। এ ব্যতয় ঘটলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে শনিবার ও রবিবার নগদ টাকা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। রোগীর স্বজনরা জানান, তত্ত্বাবধায়কের নোটিশ দেয়ার পরও অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা নগদে টাকা নিচ্ছেন।

এদিকে হাসপাতালের নগদ টাকা নেয়ার ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশ হলে অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে গাত্রদাহ শুরু হয়েছে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় জানান, নগদ টাকা না নেয়ার জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে৷

তিনি বলেন, হাসপাতালে ডিজিটাল এক্সেরে করার জন্য নগদ টাকা জমা নিতে হবে বলে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটি সভায় সিদ্ধান্ত হয়। সে জন্য শুধুমাত্র ডিজিটাল এক্সেরে নগত টাকা নেয়া যাবে।