যশোরের কচুয়ায় রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ

যশোর সদর উপজেলার কচুয়া ঘাটকুল এলাকার দুই শতাধিক পরিবারের চলাচলের একমাত্র (সরকারি) রাস্তাটি কাঁচা হওয়ায় বৃষ্টির সামান্য পানিতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গ্রামবাসী দীর্ঘদিন ধরে পাকা (সলিংয়ের) দাবি জানিয়ে আসলেও কোনো কাজই হয়নি ব্রিটিশ আমলের এরাস্তাটি। বারবার স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারের দারস্ত হয়েও কাজে না আশায় কাঁদারাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ করেন স্থানীয়রা।

নারী-পুরুষসহ কচুয়া ঘাটকুল এলাকার বাসিন্দারা অবহেলিত এরাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে ধানের চারা রোপন করে প্রতিকী প্রতিবাদের মাধ্যমে উর্দ্ধতন মহলের দৃষ্টিকামনা করেন।

এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ১ কিলোমিটার কাঁচা এই রাস্তাটি যশোর সদর উপজেলার ১৩ নং কচুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মধ্যে সবচেয়ে অবহেলিত।

এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব মিন্টু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছি, রাস্তাটির বেহালদশা সামন্য বৃষ্টিতে কাঁদায় পরিপুরক হয়ে রিকসা-ভ্যান, সাইকেল তো দুরের কথা হেটে চলাচলেরও উপায় থাকেনা। দেড় শতাধিক পরিবারের সদস্যদের খুব কষ্টে চলাচল করতে হয় বর্ষার ভোর মৌসুম জুড়ে।

গ্রামবাসী জানায়, স্থানীয় মেম্বার নিকট ধর্ণা দিয়েও কোনো প্রতিকার নেই এমনকি ঝুড়িখানেক ইটের টুকরোও পড়েনি এখানে। এই রাস্তাকে ঘিরে এঅঞ্চলের মানুষের যেন দুর্ভোগের শেষ নেই। সামান্য বৃষ্টিতে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে রাস্তাটি। তাই বাধ্য হয়ে কাঁদা রাস্তায় ধান লাগিয়ে প্রতিবাদ করছি।

স্থানীয় যুবক রাজ আলী জানায়, বৃষ্টি হলে রাস্তাটি দিয়ে আর চলাচল করা যায় না। তখন বাধ্য হয়ে অন্যের বাড়ির উপর দিয়ে প্রয়োজনীয় কর্মকাজে যেতে হয়। বর্তমানে দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে। আশা করি, এই রাস্তাটি পাকা করার বিষয়েও সংশ্লিষ্টরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিবে।