পল্লবী থানায় বোমা বিস্ফোরণ, তিনজন ১৪ দিনের রিমান্ডে

রাজধানীর পল্লবী থানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার তিনজনকে ১৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মঈনুল ইসলাম এই রিমান্ড আদেশ দেন। রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হল- রফিকুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও মোশাররফ

এর আগে পল্লবী থানার অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের দুই মামলায় এই তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। পল্লবী থানার অস্ত্র মামলায় ৭ ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ১০ দিন করে আসামিদের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফারুকুজ্জামান মল্লিক।

শুনানি শেষে আসামির প্রত্যেকের পুলিশের রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে বিচারক তিন আসামির প্রত্যেককে অস্ত্র মামলায় সাত দিন এবং বিস্ফোরক মামলায় সাত দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ডের ওই আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে অস্ত্রসহ ওই তিনজনকে পল্লবী থানা এলাকার একটি কবরস্থান থেকে আটক করে পুলিশ। পরে পল্লবী থানায় নেয়ার পর তাদের কাছ থেকে জব্দ করা একটি ওজন মাপার যন্ত্রে লুকানো বোমায় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের ধাক্কায় থানার দোতলার জানালার কাচ ভেঙে যায়।

ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-কমিশনার ওয়ালিদ হোসেন সেদিন বলেন, মিরপুর থানা পুলিশ তিন আসামিকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। তাদের সঙ্গে অস্ত্র এবং ভারী একটি বস্তু ছিল। ভোরে ওই ভারী বস্তুটি হঠাৎ বিস্ফোরিত হলে ৪ জন পুলিশ সদস্যসহ ৫ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর একজন পুলিশ সদস্যকে সেখান থেকে চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুইজন পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও একজন পুলিশ সদস্য এবং একজন সাধারণ নাগরিক বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বিস্ফোরণে আহতরা হলেন, পল্লবী থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) এমরানুল ইসলাম, এসআই সঞ্জীব, এএসআই অঙ্কুশ ও তাজ এবং রিয়াজ নামের একজন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, সকালে তাদের পাঁচজনকেই ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। অঙ্কুরের চোখে আঘাত থাকায় তাকে পরে চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তিনি জানান, সজীবের কানে সমস্যা হয়েছে, রুমির বাঁ হাতে জখম, রিয়াজেরও হাতে জখম। আর পরিদর্শক এমরানের বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচে জখম হয়েছে।