দলের খারাপ সময়ে অনেকে সেটিংয়ে যান, বাবুরা যাননি: সোহেল

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রয়াত সভাপতি শফিউল বারী বাবুর স্মরণ সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবীব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, দলের খারাপ সময়ে বহু নেতা সেটিংয়ে চলে যান। বাবুরা সেটিংয়ে যাননি। কারণ সে ছিল দলের প্রতি ডেডিকেটেড।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন’ নামক সংগঠনের উদ্যোগে শফিউল বারী বাবু ও বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়াল খানের স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভা হয়।

এতে সোহেল দলের প্রতি শফিউল বারী বাবুর আনুগত্য তুলে ধরে বলেন, যখন ভালো সময় থাকে তখন ত্যাগীরাও থাকেন, তখন সুবিধাবাদীরাও থাকেন। যখন খারাপ সময় থাকে তখন কিন্তু সবাই কিন্তু সবাই থাকে না। তখন অনেকেরই গায়ে অসুখ হয়, অনেকেই অসুস্থতায় পড়ে যান, অনেকেরই ছেলে-সন্তানের নানা রকম সমস্যা হয়, অনেকে আবার বিদেশ চলে যান।

তিনি বলেন, অনেকেই আবার দলের দুঃসময়ে, নেত্রীর দুঃসময়ে, আমাদের নেতার দুঃসময়ে উনারাযখন জেলে থাকেন, অনেকে সেটিংয়ে যান। সেটিং গেলে ভালো থাকা যায়, বিপদ থাকে না। কিন্তু শফিউল বারী বাবুরা সেটিংয়ে যেতে পারেন না। কারণ তারা দলের প্রতি কমিটেড। যারা আমাদের শহীদ জিয়ার পরিবারকে পবিত্র আমানত হিসেবে গ্রহণ করেছে, যারা শহীদ জিয়ার পরিবারকে বাংলাদেশের সম্পদ বলে মনে করে, যারা মনে করে আমরা পেলাম কি পেলাম না, সেটি বড় নয়। যদি আমাদের নেত্রী ভালো থাকেন, যদি আমাদের নেতা ভালো থাকেন তাহলে আমরাও ভালো থাকব। তাদের জন্য শফিউল বারী বাবুর চলে যাওয়াটা অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে।

সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে অভিযানের আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতির বিষয়ে পরিপত্র জারির সমালোচনা করে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‌‌‌রাতের অন্ধকারে জনগণের ভৌতিক ভোটের বাক্স চুরি করে যারা ক্ষমতায় বসেছেন কত নির্লজ্জ তারা দেখেন, এই করোনার মহামারির সময়েও তারা আইন করেছেন যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন জেলায় যেসব হাসপাতাল আছে, সেখানের চোরগুলোকে ধরতে হলে সেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে। অর্থাৎ ছোট চোরকে ধরতে হলে বড় চোরের অনুমতি নিতে হবে।

শফিউল বারী বাবুকে স্মরণ করে বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, এমনই একটি লুটেরা সরকারের বিরুদ্ধে যে লড়াই অসমাপ্ত রেখে গেছেন শফিউল বারী বাবু, সেই লড়াইকে আমরা যারা তার সহযোদ্ধারা আছি- এক এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করে এই সরকারের পতন ঘটাবো এবং শফিউল বারী বাবু ও আবদুল আউয়াল খানের অসমাপ্ত লড়াইকে সমাপ্ত করেই আমরা তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাবো।

স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকক কামরুজ্জামান রতন,যুবদল সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু,বিএনপি নেতা আবদুল মালেক, আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ।

আলোচনা সভার পর বিশেষ মোনাজাত করেন উলামা দলের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদার।