চুয়াডাঙ্গায় বেপরোয়া বাস কেড়ে নিল ৬ প্রাণ

চুয়াডাঙ্গায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় শ্যালোইঞ্জিনচালিত আলমসাধু ও পাখিভ্যানের ৬ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরও চারজন। হতাহতরা সবাই দিনমজুর।

শনিবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের সরোজগঞ্জ বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাড়াগোদা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মিলন হোসেন (৪০), তিতুদহ গ্রামের আব্দুর রহিম মণ্ডলের ছেলে শরীফ উদ্দিন (৩০), একই গ্রামের পিয়ত আলীর ছেলে রাজু আহমেদ (৪৫), তাহাজ্জত হোসেনের ছেলে সোহাগ আলী (২৫), হায়দার আলীর ছেলে কালু মণ্ডল (৪০) ও বসু ভাণ্ডারদহ গ্রামের নিতাই চন্দ্রের ছেলে ষষ্ঠী চন্দ্র (৪৫)।

আহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে বাবলুর রহমান, তিতুদহ গ্রামের খোদারত মণ্ডলের ছেলে আকাশ আলী, যুগিরহুদা গ্রামের নাঈম আহমেদ ও সরোজগঞ্জ বাজারের আলমগীর হোসেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রয়েল এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো ব ১৫-২১৬১) শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে ছাড়ে। শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বাসটি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারে পৌঁছায়।

এ সময় বাসটি প্রথমে একটি আলমসাধু, পাখিভ্যান, মোটরসাইকেল এবং পরে আরও একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ভ্যানের দুই যাত্রী ও পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে আরও চারজন মারা যান। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন চারজন।

চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপপরিচালক আবদুস সালাম বলেন, আমরা সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাই। অন্যদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করি। পরে হাসপাতালে নিলে আরও তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন ডাক্তার। এছাড়া রাজশাহী নেয়ার পথে আরও একজন মারা যান।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ খান দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হতাহতরা সবাই আলমসাধু ও নসিমনের যাত্রী। তারা সবাই দিনমজুর।

তিনি আরও বলেন, বাসটি আটক করা হয়েছে। নিহতদের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।