‘ট্রান্স-ফ্যাট নিয়ন্ত্রণে এখনই বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার ৫ দেশকে পদক্ষেপ নিতে হবে’

who

বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটানের দ্রুততার সঙ্গে ট্রান্স-ফ্যাট থাকা খাবার নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন বলে সাবধান করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বুধবার এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সংস্থাটি।

এতে জানানো হয়েছে, ট্রান্স-ফ্যাটের কারনে যত মানুষ বিশ্বে প্রাণ হারায় তার দুই তৃতীয়াংশের বাস মাত্র ১৫টি রাষ্ট্রে। এই ১৫ রাষ্ট্রের মধ্যেই রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার এই ৫ দেশও। কৃত্রিমভাবে তৈরি ট্রান্স-ফ্যাট পাওয়া যায় মাখন ও ঘিতে। এছাড়া, উচ্চ তাপমাত্রায় ফুটানো তেল বা চর্বিও ট্রান্স ফ্যাটে রূপান্তরিত হয়। সিঙ্গাড়া, সমুচা, পুরি, বিস্কুট, চানাচুর, চিপসের মতো বেকারি পণ্য যা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় থাকে সেগুলোতেও তাই প্রচুর ট্রান্স-ফ্যাট থাকে। যেসব রাস্তার খাবার কড়া করে ভাজা হয় সেগুলোতেও ট্রান্স ফ্যাট থাকে। রান্নার কাজে একই তেল বারবার ব্যবহার করলেও তাতে ট্রান্স-ফ্যাট উৎপাদিত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৫ লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী এই ট্রান্স-ফ্যাট। তারপরেও খাদ্য প্রস্তুতকারীরা এটি ব্যবহার থামাচ্ছে না। কারণ, এটি অনেকদিন ভালো থাকে এবং তুলনামূলক দাম কম। একইসঙ্গে, খাদ্যের স্বাদেও কোনো পরিবর্তন আনে না। এখন পর্যন্ত ৫৮টি রাষ্ট্র ট্রান্স-ফ্যাট নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়ন করেছে। ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বের ৩২০ কোটি মানুষ এই আইনের আওতায় চলে আসবে। কিন্তু এখনো একশরও বেশি রাষ্ট্রের ট্রান্স-ফ্যাট নিয়ন্ত্রণ জরুরি।

যেই ১৫ রাষ্ট্র সবথেকে ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে তারমধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, লাটভিয়া ও স্লোভেনিয়ার মতো দেশও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেকোনো খাবারে শিল্পোৎপাদিত ট্রান্স ফ্যাটের সর্বোচ্চ মাত্রা মোট ফ্যাটের ২ শতাংশ পর্যন্ত সীমিত রাখার পরামর্শ দিয়েছে। এই রাষ্ট্রগুলো এখন ট্রান্স-ফ্যাট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তবে বাকি ১১ রাষ্ট্র এখনো কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। এই রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে, পাকিস্তান, ইরান, মিশর, কোরিয়া, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মেক্সিকো, আজারবাইজান ও ইকুয়েডর।