ঐক্যবদ্ধভাবে সব রাজনৈতিক দলই সেনাবাহিনীর পাশে রয়েছে৷ সংসদ অধিবেশন থেকে এই বার্তা দেয়ার জন্যই রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আবেদন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷
লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় কী পরিস্থিতি রয়েছে, সংসদে তা তুলে ধরার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা৷
এ দিন সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতি এবং পরিবেশের মধ্যেই আমাদের সেনা সদস্যরা সীমান্ত পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছে৷’
তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যেখানে সেনা সদস্যরা নিরবিচ্ছিন্নভাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন, সেখানে পরিস্থিতি কতটা কঠিন৷ আগামী কিছু দিনের মধ্যেই লাদাখের ওই অঞ্চলে তুষারপাতও শুরু হয়ে যাবে৷
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন সবাই মিলে একটা শপথ গ্রহণ করি যে প্রত্যেক সাংসদ, প্রত্যেক নাগরিক যাতে সেনাবাহিনীর এই অবদানকে স্যালুট করে ঐক্যবদ্ধ হিসেবে গোটা দেশ তাদের পাশে থাকে৷ দৃঢ়ভাবে এইবার্তা আমাদের বাহিনীর কাছে পৌঁছে দিতে হবে যে সেনাবাহিনীর পাশে থাকার ক্ষেত্রে গোটা দেশ ঐক্যবদ্ধ৷’
যদিও প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বলেন, ‘অবশ্যই আমরা সবাই সেনাবাহিনীর পাশে আছি৷ কিন্তু সরকার কেন চীন সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলছে না?’
বিরোধীদের দাবি মেনে ভারত-চীন সীমান্ত সংঘাত নিয়ে ভারতীয় সংসদের বাদল অধিবেশনে আলোচনার সম্ভাবনা কম৷ তবে সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি পেশ করতে পারেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷
