যশোরে প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ হত্যার নায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

বাংলা সিনেমার সুপারস্টার খ্যাত সালমান শাহর মৃত্যুর ২৪ বছর পেরিয়েছে। এত বছর পরেও প্রিয় নায়কের জন্য ভক্তদের হাহাকার থেমে নেই। সালমানের ৪৯তম জন্মদিন স্মরণে হত্যার ন্যায়বিচারের দাবিতে শনিবার বেলা ১২ টায় প্রেসক্লাব যশোরের সামনে মানববন্ধন করেছে সালমান ভক্তরা। কাঠেপুল যুব সংঘের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে যশোরের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মৃত্যুর দুই যুগ পেরিয়ে গেলেও এখনও তার মৃত্যুরহস্য উন্মোচিত হয়নি। মুলত সালমানের ব্যাপক জনপ্রিয়তার বিষয় একটি পক্ষ মেনে নিতে না পেরে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। কিন্তু তারা এখন দুধে ধোয়া তুলসি পাতা সাজছেন। তারায় ঘটনাটি ভিন্ন খ্যাতে নিতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সালমান ভক্তরা তা কখনোই তা মেনে নেবেনা। প্রয়োজনে ন্যায়বিচারের দাবিতে সারাদেশের ভক্তরা একত্রিত হয়ে উত্তাল করে তুলবে রাজপথ। এ বিষয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

কাঠেরপুল যুবসংঘের সহযোগিতায় মানববন্ধনে প্রধান বক্তা ছিলেন কাঠেরপুল যুব সংঘের উপদেষ্টা সাংবাদিক জাহিদ আহম্মেদ লিটন। আরো বক্তব্য রাখেন সালমান ভক্ত শাহেদ উর রহমান রনি, রিকি খান, ডি এন মিথুন, ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসেন বাবু, রায়হান উদ্দীন, সৈয়দ আলামিন আবিদ, শফিকুল রহমান, মিজানুর রহমান, বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।

মানববন্ধনে সাংবাদিক সাজ্জাদুল কবীর মিটন, এম আর খান মিলন, আয়যুব হোসেন মনা, মাসুদ রানা বাবু, জাহিদ হাসান অংশ নেন। তারাও হত্যার ন্যায় বিচারের দাবি জানান। মানববন্ধন শেষে সালমান শাহ’র রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

কাঠেরপুল যুব সংঘের পরিচালক শিমুল ভূইয়া কর্মসূচী সমাপনী ঘোষনা করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন রোডে নিজ বাসা থেকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান শাহের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও আসামিপক্ষের ভাষ্যমতে লাশ পাওয়া গিয়েছিল ‘ঝুলন্ত অবস্থায়’ এবং এটি আত্মহত্যা।

অন্যদিকে সালমানের মা নীলা চৌধুরী সহ প্রয়াত এই নায়কের স্বজনরা মামলার শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড এবং লাশ ছিল বিছানায়। সালমানের পরিবারের নারাজি আবেদনে মামলাটি আবারও আদালতে ওঠে। পরবর্তীতে ঢাকার মহানগর হাকিম লস্কর সোহেল রানা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআইকে) দিয়ে পুনরায় আলোচিত এ মামলাটির তদন্ত করতে নির্দেশ দেন। যা এখনো তদন্তধীন।