এমসি কলেজে গণধর্ষণ: তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে

high-court

সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া এক নববধূকে ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা তদন্তে আদালতের গঠন করে দেয়া তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা পড়েছে।

তবে তদন্ত প্রতিবেদনে কী আছে তা জানা যায়নি।

মঙ্গলবার বিচাপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদনটি ওঠে।

এ সময় বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, এমসি কলেজে ধর্ষণের ১৭৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি বেলা ১১টায় এসেছে। প্রতিবেদনটি দেখার সুযোগ হয়নি। এ অবস্থায় আগামী ১ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন রাখা হচ্ছে।

এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও এ ধর্ষণের ঘটনার প্রকাশিত খবর-প্রতিবেদন নজরে আনা আইনজীবী মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন ভার্চুয়াল কোর্টে যুক্ত ছিলেন।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজের এ ধর্ষণের ঘটনার প্রকাশিত খবর-প্রতিবেদন নজরে এনে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন প্রয়োজনীয় আদেশের আরজি জানান। পরে গত ২৯ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করে দেয়।

সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, মুখ্য মহানগর হাকিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (সাধারণ) সমন্বয়ে এ তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন আদালত।

২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া ওই গৃহবধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করে কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী। এ ঘটনা জানাজানি হলে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

পর দিন সকালে ওই নারীর স্বামী এ ঘটনায় শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগকর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ঘটনায় মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।