গায়ক পারভেজ সাজ্জাদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ

দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পারভেজ সাজ্জাদ। তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে গান ইউটিউবে আপলোডের অভিযোগে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সিজি ওয়ার্ল্ড ফিল্মস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মঈনুল ইসলাম।

তার পক্ষে নোটিশটি পাঠিয়েছেন জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট মীর্জা রাকিব হারুন।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, সিজি ওয়ার্ল্ড প্রযোজিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘সাত রঙের ভালোবাসা’-তে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কয়েকটি গান গাওয়ার সুযোগ দেন প্রযোজক মঈনুল ইসলাম। যার মধ্যে একটি গানের শিরোনাম ‘নেশা নেশা’। এটি লিখেছেন প্রদীস সাহা এবং সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন আব্দুল করিম সিরাজী (ডিজে আকস)।

এ গানটিতে পারভেজের সঙ্গে কণ্ঠ দেন ভারতের সংগীতশিল্পী নেহা কাক্কার। এ গানের সম্পূর্ণ খরচ বহন করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। গানটির অডিও কপি ছিল পারভেজ ও ডিজে আকসের কাছে। এই দুজন প্রযোজকের বিনা অনুমতিতে গানটি ইউটিউবে আপলোড করেছেন। ফলে ছবির প্রযোজক আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন এবং এর পরিমাণ আনুমানিক দেড় কোটি টাকা।

ফলে নোটিশ প্রদানের পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে পারভেজ ও ডিজে আকসের প্রতি আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান ও ইউটিউব থেকে গানটি অপসারণ করার জন্য বলা হয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও নোটিশে উল্লেখ রয়েছে। নোটিশটি প্রেরণ করা হয়েছে ১৯ সেপ্টেম্বর।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিজি ওয়ার্ল্ডের স্বত্বাধিকারী মঈনুল ইসলামের কাছে গানটির মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র রয়েছে। স্ট্যাম্পে লিখিত অঙ্গীকারনামার মাধ্যমে গীতিকার এবং সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক এ গানের শতভাগ মালিকানা ছবির প্রযোজককে হস্তান্তর করেছেন, যেখানে সাক্ষী হিসেবে কণ্ঠশিল্পী পারভেজ সাজ্জাদও স্বাক্ষর করেছেন।

এ প্রসঙ্গে মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি পারভেজ গানটি ইউটিউবে আপলোডের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জেনে আমি অবাক হই। এরপর আমি তাকে কাজটি না করার জন্য মৌখিকভাবে নিষেধ করি। এরপরও তিনি কাজটি করেছেন। এটি পুরোপুরি অন্যায়। একজনের সম্পদ এভাবে অন্যজন অবৈধভাবে দখল করতে পারেন না।

অন্তত শিল্প-সংস্কৃতির মানুষের কাছে এটা আশা করি না। তিনি অন্যায় করেছেন, তাই আইনি নোটিশ দিয়েছি। নোটিশ অনুযায়ী কাজ না করলে আমি পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’

এদিকে নোটিশের ব্যাপারে জানতে চাইলে গায়ক পারভেজ বলেন, ‘আমি নোটিশটি পেয়েছি। যেহেতু এটা আইনি বিষয়, আইনি ভাষায়ই আমি এর জবাব দেব। যে অভিযোগ আমার নামে আনা হয়েছে এটা পুরোটাই ভিত্তিহীন। আমি এ নামের কোনো গান কোথাও আপলোড করিনি। তাছাড়া যে সিনেমার কথা বলে হচ্ছে আমি এ নামের কোনো সিনেমায় কাজ করিনি।’