নেপালের বিপক্ষে ‘কাতার ম্যাচের প্রস্তুতির’ লক্ষ্য বাংলাদেশের

সময়ের স্বল্পতা সত্ত্বেও প্রস্তুতি নিয়ে আছে সন্তুষ্টি। স্বাভাবিকভাবে চাওয়াটাও লম্বা সময় পর ফুটবলে ফেরাটা জয়ে রাঙিয়ে রাখার। তবে সংবাদ সম্মেলনে জয়ের চেয়েও নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে ‘কাতার ম্যাচের প্রস্তুতি’কে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কথা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বললেন বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আগামী শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় নেপালের বিপক্ষে দুই প্রীতি ম্যাচের প্রথমটি খেলবে বাংলাদেশ। করোনাভাইরাসের কারণে গত মার্চ থেকে বন্ধ থাকা দেশের পুরুষ ফুটবল এ ম্যাচ দিয়ে ফিরবে মাঠে।

শুরুতে কোচ, খেলোয়াড় সবার কাছে প্রাধান্য পেয়েছিল ফুটবল মাঠে ফেরানোর ভাবনা। নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দুটি সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দারুণ উপলক্ষে হয়ে এসেছিল। এরপর হঠাৎ করেই নির্ধারিত হয়েছে ২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের ম্যাচ; আগামী ৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় পর্বে কাতারের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সেই থেকে বদলে গেছে নেপাল ম্যাচ নিয়ে দলের ভাবনাও।

“কাতার ম্যাচের জন্য আমাদেরকে ২৩ বা ২৫ জন খেলোয়াড় প্রস্তুত করতে হবে। এখন আমরা দুটি ম্যাচ খেলব এবং কিছু খেলোয়াড় খেলার সময় পাবে। কাতারের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আমাদের আরও দুটি ম্যাচ দরকার। তাহলে গুছিয়ে নেওয়ার জন্য চারটি ম্যাচ হবে।”

“আমরা সবাই জিততে চাই, কিন্তু আমার মনোযোগ শুধু জয়ের দিকে (নেপালের বিপক্ষে) নয়। খুশি হব যদি আমরা চারটি ম্যাচ খেলতে পারি এবং কাতারের বিপক্ষে চমৎকার একটা ম্যাচ খেলতে পারি। সামনের ছয় সপ্তাহে এ দিকেই আমাদের দৃষ্টি।”

নেপালের বিপক্ষে ম্যাচের ফরমেশনেও কাতার ম্যাচের ভাবনা থাকছে বলে বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ডে। বলেছেন প্রীতি ম্যাচের প্রতিপক্ষকে সমীহ করার কথাও।

“নেপাল ম্যাচে আমরা আক্রমণাত্মক ছক সাজাব না। কেননা আমাদের কাতার ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। সেক্ষেত্রে আমরা ৪-৪-২ বা ৪-৩-৩ ফরমেশনে খেলতে পারি। কৌশল সাজাব কাতার ম্যাচের প্রস্তুতি সামনে রেখে। আমরা জিততে চাই, কিন্তু এটা নিয়ে চিন্তিত নই।”

“অবশ্যই নেপাল খুবই ভালো দল। তাদের কিছু খুবই ভালো এবং আক্রমণাত্মক খেলোয়াড় আছে। তাদেরকে হারানো কঠিন হবে। কিন্তু আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং ফিটনেসের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে এই সময়ের মধ্যে। খেলা, জয় পাওয়া এবং ফুটবলকে লম্বা সময় পর মাঠে ফেরানোর জন্যও আমরা মুখিয়ে আছি।”